Posts

 . আগুনে আগুন রাখতে শেখাই বরফের মতো দেখায় যদিও তাকে নির্ভয়ে রেখে দেখো উত্তাল তরঙ্গ তীরে সাদা অপরাজিতাকে কত রক্তিম হয় লজ্জায়!
যে ছন্দ দল মাপে প্রস্তুত হতে হতে একদিন ক্ষয়ে যাবো অবশেষে — সুন্দরকে যে দেখতে শিখে গেছে সে কোনো সিংহাসন চায় না। প্রতিবাদের আগে যে ছন্দ দল মাপে তাহাকে করুণা; প্রতিভার ছলে ফেঁসে গিয়ে বাজারের জালে, ঘোলা জলে মাছ — দোহাই সাজিয়ে সহজেই পার হয় সমস্ত দ্রাঘিমা। একদা চিৎকারের লগ্নিতে রুটি ফোলে সুখী গৃহকোণে এক রাজার বিরুদ্ধে লিখে যে কলমের নিব স্বর্ণাভ — ত্যাজ্য সে সমস্ত মিউজের। সব রাস্তায় পেরেক পুঁতে তসবি তিলকে করো জবাই — ধ্বজার বাহক তবু নই— সব গান অত সস্তা নয়! অমেরুদণ্ডী উপকথায় থুতু দেবে কালের জনতা, হাল হবে ছেঁড়া কাগজের। ছাল ছাড়াও, ফুটপাতে গাড়ি, কারাগারেতে বিচারবিহীন; অক্লান্ত পরিযায়ীর ডানা বন্দুকের নল তার চেনা, স্বস্তির দিকে যতই টানো ডাল তবু রৌদ্রে নিদ্রাহীন। যে জানে বিনিময়হীন লাভ, পান করে অস্থিরতা মায়া স্থাবরকে অবহেলা করে যে কিনেছে জঙ্গমের ঠিকানা তালুতে তার সুন্দর খেলে, কখনো শিকলি হয়ে ওঠে না।
ফিরে পড়ি 'লজ্জা' ফের পাই লজ্জা, খুলে পড়ে সজ্জা। ধর্মান্ধরা খেতে চায় অস্থি মাংস ও মজ্জা। 23.10.21
শ্বাসকষ্ট তন্ময় বীর     আমি শ্বাস নিতে চাই না ধর্মাবতার শুধু বেঁচে থাক শহরের ফুসফুস, গাছে ডালে তার  ফুটুক শৌখিন ফুল । নগর-স্বপ্ন মাপে কাটো আমাদের ডানা ফসলের মাথা । কাকতাড়ুয়ার চোখও দান করে দেব তার দিনকানা রোগে। মেঘ ফুঁড়ে ওঠা মহিম প্রাসাদ-দম্ভে যোগাবো আহার আনত নোকর সর্বদা। সুযুবতী লতা, নধর তরুণ দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে দেব ব্যালকনি টব। কেউ ‘শ্বাস নিতে পারছি না’ বললে খুব মায়া হয় মনে — আমরাতো মরে গেছি কবে!   তুই বেঁচে থাক আহ্লাদী শহর তুই সুখে থাক ননীর পুতুল   ধর্মাবতার তোমার আধীনে দিচ্ছি আমার তুচ্ছ বিমাহীন প্রশ্বাস । আপনি জানেন — শহর দারুণ অসহায় নিরুপায়! গ্রামের শ্বাসের বিনিময়ে যেন ‘সভ্যতা’ বেঁচে যায়।  
অন্নপূর্ণা জাগো উদ্ধত অরণ্য-শীর্ষে  মাহাকাশ-নাভি ভাঙা মুক্তার কণিকা পাতায় পাতায় ঘনকালো জল দিঘি হয়ে আছে তারফুল ধিমে তালে বাহা নাচে ছায়াপথ খুঁটে খায় মাছেরা নির্ঘুম কোথাও শেয়াল ডাকে অনেক অনেক পরে আরো ভোরের আজান হবে, সুরভি  আরতি ঈশ্বর ওঠার বহু দণ্ড আগে ঘুম ভেঙে জেগে দেখি রক্তজমাট অথর্ব অটল বধির নিরঙ্কুশ রাত্তিরের শিলার ভঙ্গিলে কোথাও ফাটল নেই ঝরনাহীন বন্ধ্যা হিমবাহ ভীষণ রাক্ষসতাল কোথায় ওড়াব স্বপ্ন, রঙিন পতাকা  শিখরে শিখরে অন্ধ স্বার্থজ্বালামুখ লুট হওয়া ঝুটো সব অমৃতের ভাঁড় তেষ্টা পেলে আর্ত মধ্যরাত আগুন জিভের মরুভূমি নিঃস্বের অন্ত্য আকুতি কার কাছে যাবে - ডেকে তুলে বলব কীভাবে অন্নপূর্ণা জাগো -  এই রাতে মরে যাই যদি  আমাদের সন্ততিকে অন্তত বাঁচিও   
একদিন মহাকাব্য হবে দুহাতে ছিঁড়ে ছড়িয়েছি মুক্তা মাণিকের হার এতো ঐশ্বর্যের সাতনরি ভালো লাগে না সংসারীরা কুড়িয়ে নিক ধুলোমাখা  প্রবাল আমি মুখ তুলে শ্বাস নিই আকাশ আলোয় শান দেওয়া তলোয়ার ছুঁড়ে ফেলি জলে ত্যক্ত বর্ম শিরস্ত্রাণ ঘেরে ব্যর্থ উর্ণাজালে সফলতা — সাধু শিয়ালেরা জমাক পাহাড়ে ইচ্ছা হলে খুশির ডানায় থামাবো সফর  কোথাও কখনো ঋণী থাকতে চাইনি এমনকি লোভনীয় স্বর্গীয় হাসির কোণায় —  বিশ্বাসীরা খাদের কিনার থেকে ফিরে এলে আমি চোখ খুলে দ্বিধাহীন ঝাঁপাবো অন্ধকারে না ছুঁয়ে চলে আসি উত্তেজিত তলদেশ  অত সিদ্ধি, সুখের পরাগে দমবন্ধ লাগে সোনালি সৈকতে রেখে আসা স্মৃতিকথা অঙ্গীকারহীন ভেসে যাক শ্রেয়স্কর ঢেউএ দুহাতে ছিঁড়ে ছড়িয়ে ফেলা মুক্তামণিহার সযত্নের অস্ত্র ছুঁড়ে ফেলা সমাধির শিরে ঋণী না থাকা কোনো বাঁকানো গ্রীবার আস্বাদে উদ্ধত অভিমান সব একদিন মহাকাব্য হবে
  हलधर सेना   हिमालय का सुगन्ध अपने बदन पर लेप स्पर्श की है गहराई रहस्यलोक की मैदानों की नाभि पर सर रख सोता हूँ तुच्छ लोग समझते हो हमें?   रोम रोम में दहकती है बालियों की ओस स्वप्न में इकट्ठा कर रखा है धान से भरा खलिहान हथेली पर हैं गंगा रावी रेवा भीमा कान रोप सुनते हैं हम बिजलियों का गीत।   कंधों पर उठाए हल गैंती कुदाल निवारे हैं हम अहल्या का शोक पोषण पसीने का है ईख गेंहु और जौ में आदिम अनन्त मनुष्यता हैं हम।   रोज डुबाते, रुलाते, बहाते हो हमें सर तक जला, काट करते हो टुकड़े हमारे मौत से लौट चुके हैं हम इस बार – खत्म होगा रावणवध से यह दशहरा।   [ कवि तन्मय वीर रचित मूल बांग्ला कविता का हिन्दी रूपान्तर – विद्युत पाल]
হলধর সেনা সুবাস মেখেছি নগাধিরাজের অতল ছুঁয়েছি, রহস্যলোক মাঠের নাভিতে মাথা রেখে শুই আমাদের ভাবো নগণ্য লোক ?    রোমে রোমে জ্বলে শিষের শিশির স্বপ্নে জমানো গোলা ভরা ধান তালুতে গঙ্গা রাভি রেবা ভীমা কান পেতে শুনি বজ্রের গান। হাল কাঁধে নিয়ে গাইতি কোদালে শমিত করেছি অহল্যা শোক ঘামের পুষ্টি আখ গম যবে আমরা আদিম অনন্ত লোক। নিয়ত ডোবাও, কাঁদাও ভাসাও পুড়িয়ে আশির, কেটে করো ফালা প্রাণান্ত থেকে ফিরেছি এবার - সমাপ্ত হবে দশেরার পালা। 
. . শপথ ডুবিয়ে দাও, ভেজাও তোড়ে গ্যাস দিয়ে বা জলের তোড়ে রক্তে আছে মন্ত্র-টোনা বৃষ্টি মেখে শস্য বোনা থোড়াই কেয়ার রোষের আগন রোদের শাসন শীতের আঘন যতই শাসক চাবুক মারে কৃষক জেদের শিকড় বাড়ে ভেজাও চোবাও বাঁধো রোখো এই কথাটি লিখে রাখো গেলে যাবে জীবন যাবে ঘামের খামার অটুট রবে ফসল চাষার সুজন খাবে
 চির ক্ষুধাতুর চোখ তুমি মাঠ মেলে দাঁড়িয়ে রয়েছ বাতাস ঈষৎ মাতালের গান। তারায় তারায় জ্বলছে আকাশ মুঠো মুঠো ধানে ঘামের সুবাস। যত দূরান্তে ঘ্রাণের সীমানা তারপর স্মৃতি-জোনাকিরা জ্বলে। জীবন যতটা যেতে পারে যায় বাকিটা পূরণ করে আধো ছায়া। প্রত্যেক রাতে ইচ্ছাপত্র পুঁতে রেখে শুই।   না-জাগা সকালে স্বপ্নের চারা চোখ মে'লে যেন নবনীনরম ঘাসে সুনিবিড় শীতলতা মাখে।   না-ছোঁয়া গভীর রঙের স্রোতের ছায়াপথ চুমে শুষে নেয় সব - মহাজগতের হৃদয়ের ধ্বনি, শ্বাস, কাতরতা।। অশেষ তোমার দৃশ্য-মেলায় জন্মের পর জন্ম চারিয়ে জেগে আছি চির ক্ষুধাতুর চোখ।
সময়  এমনকি, বাঁধা নৌকাও খুলে চলে যায় ক্রমশ শিথিল বোঁটার ভেতরে লাগে ঘুম বোধনের পরে ভাসানের জলে আকুলতা শীত নেমে আসে, ভুলে যায় জয় এমনকি, দৃঢ় বাহুপাশ হয়ে আসে শ্লথ জীর্ণ শিকড় সুখের চাদর কাটে ঘুণ বেগবতী নদী পাশ ফেরে জেগে ওঠে চর নত শুয়ে পড়ে খাড়াই শপথ 
আমাদের কিছু করার নেই ঈশ্বর আমাদের কিছু করার ছিল না ঈশ্বর যেন ভুলে যায় যেন শিশু কাঁদেনাকো আর পাকস্থলীটা খাইয়েছিলাম বাজপাখিকে ঘুম ভেঙে দেখি ফের জন্মেছে পুরাতন খিদে তোমার কৃপায় 
অচেনা উল্কার দাগ শব্দ ধ্বনি ভেঙেচুরে দেখে নিই ঋতুর মহিমা ঋতুর ভেতরে পৃথিবী ছাড়ানো বিশ্বের জ্যোতি অপার আলোকিত অন্ধকারের কতটুকু জানি কাশফুল ঘাসফুল শিউলি সন্ধ্যামণি পারিজাত জুঁই সেখানে কীভাবে ছড়ানো রয়েছে অনন্ত সকালে দীর্ঘশ্বাস বিরহ শোক সুখের যন্ত্রণা, সম্ভোগ আমাদের অনিত্যের মতো কিনা রহস্য জটিল ছন্দ যতি মাত্রা কলা ছেদ এঁকে অনুমান করি কিছু কিছু  অচেনা উল্কার দাগ বিস্ময় চিহ্নেতে এলেখায় লেগে থাকে আকস্মিক শব্দের আঘাতে    
জেগে ওঠে সত্য সাঁই সুষমাকে ফেলিয়া এসেছি নির্মম সুদূরে অসম্ভব, নিরুপায় ফেরা অঞ্জলি খেয়ায় নিরর্থ  রক্তপাত শস্ত্রের  শানিত বিজয় মুছে গেছে  সরল পথের সবুজ সজল মেঘে মেঘে হতাশা বোলানো নক্ষত্র আকাশ ছেঁড়া রামধনু এলোমেলো রঙের বিন্যাস অগত্যা অন্তিম বিকল্পের সমুখে দাঁড়াই মরা গাঙে অন্ধ পাল তুলি বদর বদর অহল্যা দ্বীপের বুকে জেগে ওঠে সত্য সাঁই     
অন্ধকারের ভেতরে হাত পেতে বসি নীহারিকা নাভি থেকে জ্যোতিরশ্মিরেখা গড়িয়ে নামুক এসে অঞ্জলি-তৃষ্ণায় বাঁধা হাতে প্রার্থনাই অনন্য-উপায় ওইতো একেকটি তারায় ওষধির মায়া সুদীপ্ত সাজানো আছে আঁধারের চালে  কোনোটাতে ভিড় করে স্মৃতি নিরাময়  গায়ে কারো লেগে আছে স্পর্শের স্ফটিক লাজুক শিশিরে ভেজা মাতাল ঝিক্‌মিকি  ভেতরেতে এসে কেউ খুব ঢুকে পড়ে কারো শ্বাস পল্‌কা করে শিকলের মালা নিঃস্বপ্ন রাতের ঘুমে ফুল হয়ে ফোটে ভেবেছ বেঁধেছ খুব আচ্ছা জনে-ধনে বেন্ধেছ হাত পা তবু, মন বাঁধবে কেম্‌নে ?  
  আমিই আসল রবীন্দ্রনাথ বেড়ার পাঁচিল ভাঙল বলে তাদের উপর যে রাগ করো তোমরা যখন কেজি দরে রবির বইয়ে নিলাম ধরো           তার বেলা? কলকাতাতে ডেকে এনে ঠেসে মারো অস্ত্র করে দাড়ি ছিঁড়ে শ্রদ্ধা করো, প্রণাম করো ঘটা করে                তার বেলা?   ওখানে নেই রবিঠাকুর, এখানে নেই, কোনোখানে নেতায় টানে মন্ত্রী টানে নোবেল খানা চোরে টানে টানাটানি খামচাখমচি সার হল তো শেষেরবেলা অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখো হাট বসেছে শ্রাদ্ধমেলা হরির লুটের কাদায় পড়ে সংস্কৃতির বাঁদর-নাচ তলায় তলায় পাক্কা হিসেব ঘোলা জলে ধরছে মাছ   বিশু তখন আমার ভিতর কোপাই তীরে মেলে দু-হাত অট্টহাস্যে বলছে জোরে আমিই আসল রবীন্দ্রনাথ
আসছো যখন ছন্দে তখন কাটবো কেন তাল দুলছে ঈষৎ পা ও মাথা চলন বেসামাল একটু মাতাল মাত্রাতে ঠিক বলব যেটা ন্যায্য বলে বলুক মন্দ লোকে ওসব করো সহ্য উড়ুক আঁচল লজ্জিত হোক ফোটা কুঁড়ি সদ্য পদ্য লেখা সদ্য কবির চলকে যাক মদ্য খসুক খোঁপা বিস্রস্ত চূর্ণ কালো কুন্তলে হিসেবিরা থই পাবে না গভীর খুব অতলে দৃশ্যত এই আলুথালু গোপন ভাঙার চাল উথালপাথাল ছন্দে লেখে জাতে পাঁড় মাতাল এক পা রেখে আগুনে আর এক পা রেখে চাঁদে পাগল তোমার পর্ব চরণ মেলায় নির্বিবাদে
দু'চুমুক চা খাওয়া যায় চোখ রেখে চোখে এরকম দুই একটা নির্জন কোনোখানে নেই জানতে চাইবে খিলঞ্জীয়া নাকি এলিয়েন বলতে হবে কোড নম্বর, জন্মদাগ, ভিটে বুক চিরে আরাধ্যের ছবি, আঙুলের ছাপ পাকস্থলী ঘেঁটে খাদ্যাখাদ্য, তসবি তিলক সভ্যতার মিনার সমূহে মুষ্টিমেয় লোক যদি বোকা হও কিম্বা হাঁদা, সহনশীল সোজা লুট করতে জানো না, বিশ্বাসী, তবে ভেসে যাও জামার ভেতরে সন্তানের লাশ নিয়ে জলে বসে থাকো কয়েদখানায়, উদ্বাস্তু কলোনি গিলে খাবে জীবন যৌবন, উপুড় আলান চুম্বন রাখার সুবিশ্বস্ত ঠোঁট নেই কোনো দাঁত আছে সাজানো করাত, চোখের সান্ত্রীরা যেখানে যেভাবে যাও, খাও, সজাগ প্রহরা
ডাকছে কাছে আকুল হয়ে প্রার্থনায় ইচ্ছে হয় চেঁচিয়ে বলি সত্যি নয় সত্যি নয় সবুজ আলো তবু নিষেধ দূরত্বের অভাবে আছে ট্রাফিক আলো ঘনত্বের ঘনত্বের আছড়ে ভাঙি কাচের গ্লাস সুদর্শন ডাকুক যত আমি তো চাই অদর্শন অদর্শন
আবার যেন বলে বসো না এটা কী? ইত্যাদি বিড়াল জাতীয় শব্দ উচ্চারণ শেষে বালিশ আঁকড়ে শুয়ে পড়লে মধ্যরাতের কিনারে স্বর্গেরা সব ঘিরে রইল অতন্দ্র উজ্জ্বল পাহারায় ভেজা সোঁদা গন্ধে মাতাল চকমিলানো চবুতরা চারিদিকে খরা, সজল শ্রাবণ পেরিয়ে গেল তবু বৃষ্টি হলো ইতিউতি, অন্যরকম একান্ত ব্যক্তিগত কারোরই মন ভিজল না, শিকড় ভিজল না আমূল আঙুলে লেগে রইল গতজন্মের কদমের রেণু আড়মোড়া ভেঙে এলিয়ে পড়লে সত্যি না আসুক স্বপ্নে আসবে, এরকম বিশ্বাসে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে পরদিন ফিঙেডাকা সকালে চোখ জাগবে কিনা সেসব ভৌতিক কথা ভাবার অবকাশ মেলে না খুব
দুটো গাছ ঝুঁকে আছে                             দিঘির উপরে পাতা ছুঁয়ে যায় জলে                             প্রতিবিম্ব নড়ে                             জল মাখে মায়া                             ঢেউ দোলা ছায়া মাছরাঙাটি উড়ে এসে                             ভেজা পায়ে বসে পানকৌড়ি মেলে শুখায়                            মখমলের ডানা ওই শাপে বেঁকে আছি                          তোমার কিনারে ভেজার সুগন্ধে ভিজি                          দিন রাত ভ'রে স্নানের আকাঙ্ক্ষা থাকে                          চোখের কোনায়  ডুব দিতে মানা তবু                         যত মন চায়
হঠাৎ দারুণ বৃষ্টি এল ঝেঁপে মেঘে মেঘে আকাশ গেল ভেঙে ভীষণ রকম ঝঞ্ঝা ঝড়ে গোটা বাস্তু বসত এলোমেলো একশা বিছ্না বালিশ পুকুর নালা নদী মরার মুখে জান্ পেয়ে বাদশা কিন্তু কোথাও কী নেই কী নেই যেন তেমন করে আসর জমছে কই সানাই ছাড়া বিয়ে বাড়ির মতো মনে নেশার মাতন আশাহত চমকে গিয়ে চেয়ে দেখি বা’রে! বজ্রগুলো নীরব ঝুলে আছে তোর অনিচ্ছুক বন্ধ ঘরের দ্বারে
উন্মুখ হয়ে আছি খুব খুব অতল জলের নিচে ডুব ডুব যখন কথারা ছিল লাখে লাখে বাক্যের ফুল ছিল শাখে শাখে ভাষাহীন ভাষা আজ চোখে চোখে সংকেত বাণী ওড়ে দিকে দিকে খুব খুব হয়ে আছি উন্মুখ চুপ চুপ যেতে চাই সম্মুখ উন্মুখ আছি হয়ে খুব যে সে বার্তা নিয়ে যাবে বয়ে কে?
হাতের তখন দোষ দিও না হাত করবে কী সে বেচারি সেপাই মাত্র আদেশ শোনা ঝি ভেবে দেখ একটু কোথাও লাই পেয়েছে কি শুনল যখন সোনারূপো সঙ্গে রাজ্যপাট কাফের গোলাম আকাশ পাতাল ভেবে ভেবেই কাঠ মাথার কাজ মাথা ব্যথা তার কী আর পাপ ধানাই পানাই ছেড়ে দিলো লোভের চিহ্নে ছাপ হাতের বলো দোষ কী আর হাত করবে কী মাথার কাজ চিন্তা করা কোথায় মাথা ছি আমরাও বেশ চক্ষু বুজে দুহাত ধুয়েছি আমাদেরও দোষ দিওনা আমরা করবো কী আমরা হলাম মাকড় পোকা তেনারা খান ঘি অন্ধ আশায় লোভে বেজায় বোতাম টিপেছি বোতামেরও দোষ দিও না বোতাম করবে কী ও বেচারা আছে বলেই গণতন্ত্রের  জামার নিচে লজ্জা ঢেকেছি
শান্তিমালা টানিয়ে গাছে গাছে দূরান্তের পথিক ডাকো কাছে অন্ধকারকে বৃথা নাড়া ঘাঁটা বরং ওর কবরে দাও কাঁটা শাপগুলোকে চিরিয়ে কুটি কুটি অন্ধ চোখে চুমুর কথা দুটি ভয়কে কেন খুঁচিয়ে তোলো আর পচলে ভালো হয় জৈব সার আগুনে জ্বেলে বসো ওদের কাছে পাপেও কিছু পুণ্য আলো আছে
এখন তোমার উপচে পড়ছে থলি এবার তবে শান্ত হয়ে বসো এই যে এখন ভর দুপুরের বেলা গাছের নিচে পাচ্ছ শান্ত ছায়া চুপটি বসো, হয়ো না চঞ্চলা মাঝের ডালে যেমন দুটি পাখি চুপ কথাতে করিছে খুনসুটি একটি পালক ওদের থেকে নিয়ে লেখো বসে নীরব কথাকলি
ধরো, আমি নেই, ছিলাম না কোনো কালে বলে-তো ছিলাম, সহ্য করার ছলে বেশি দিন কিছু রাখাই যায় না। কেউ পারে তো, কেউ না আমিও ভাবছি, ছিলই না কেউ তীরে ক্রমশ অন্ধ, তলাচ্ছি ধীরে ধীরে উঁচিয়ে আঙুল তারাদের খুব বকি একটুও আর না ফুলের মতোই দূরেই সফেদ থাকো মুচড়ে ভাঙ্গা সুবিশ্বাসের সাঁকো যতই কাঁদাও, কাঁদো, সহজেতো কেউ কাউকে পায় না
আমি চাই না আমার স্বপ্ন রৌদ্রতাতে পুড়ুক আমার ইচ্ছে স্বপ্নসোনা বৃষ্টিতে খুব ভিজুক কালো গভীর মেঘের পিছে বজ্রমানিক গাঁথা দৃষ্টিতে তার ঝলসে উঠুক চমকানো সে কথা আমার খুশির বিন্দুগুলি  নামুক তাদের ছাতে চরাচর ভিজিয়ে দিয়ে নাচুক কাতর হাতে নামতে চাই আমিও জলে কিন্তু ডোবা বারণ ভেতর জুড়ে বারুদ ভরা কি যে বলি কারণ ভরা বাদর মাহ ভাদর আগুন লাগা শুরু আব তু হি বাতা সজনি ম্যায় কেয়া করু
তুমি দোষী নও, আমিও সকলে নির্দোষ, ওই শিশুও মায়ের কোলেতে যে মরে গেল বেয়াদপ কিছু ওই ছিপিও
চুম্বন যেগুলো ফেরেনি ফুটে আছে গাছে লাল নীল হাত রেখে বৃন্তে ও দলে ধীরে শোনো সে দর্দ-এ-দিল       💋     চুম্বন যেগুলো ছুঁয়েছে তার কাছে প্রাণ ঋণী আছে চোখ রেখে দেখ ভিতরেতে সব কিছু তোমাতে রেঙেছে           💋 আসবে যেসব চুম্বন তাকে ঘিরে শুধু উন্মন জাল বুনে রাখি স্বপ্নেতে পাতবে কোথায় সে আসন
উত্তরাধিকার নয় কিছু যতসব এই ভাঙাচোরা ছিঁড়ে ফেলা নিজের নির্মাণ অথবা সযত্নে তুলে রাখা অনার্য স্মৃতির কাতরতা এই ঊর্ধ্বপদ হেটমাথা উল্টো করে সব কিছু দেখা চতুর শাঠ্যের পাশে বোকা তিলোত্তমাকে না ছুঁয়ে, ফুঁ-এ উড়িয়ে এসে চূর্ণ কুন্তল জানু মুড়ে একলব্য থাকা সুকঠিন পাহড়ের পায়ে অলৌকিক নামাবলি ছিঁড়ে ধূলিতে চার্বাক হয়ে বাঁচা বত্রিশ পুতুল হয়ে থাকা তক্তের তামাশা দেখা ছলে যতটা গ্রাম্য ভাবো তার থেকে বেশি মাটি চন্দনের প্রলেপ  পায়ে নখে ঝুলিতে সম্বলে যত লোভ দেখো বহুগুণ ক্রোধ তার চেয়ে দাঁতে দাঁতে যত নীচ ভাবো তার চেয়ে গভীরতর নীচের নাভিতে বসে আছে আমার নির্বাণ উত্তরাধিকার নয় সেতো ভাঙাচোরা ছেঁড়াখোঁড়া গান স্বোপার্জিত নিজস্ব নির্মাণ
এমন গোপন আস্কারাতে দস্যুও দেবতা হয়ে ওঠে ধরে দিলে সোনার আপেল প্যারিসও মৃত্যুর দিকে ছোটে ঘাড়ের বুনো কেশর ওড়ে  দুরন্ত বাতাসে তাকে যদি  দাও লাগাম খোলা আস্কারা সে তবে পক্ষীরাজের বাড়া  ঝরনাকে আস্কারা দিলে নদী মেঘেরা একটু ইশারা পেলে  ভিজিয়ে দেয় চুল অবধি শিকড়ের আস্কারেতে বনে খনিজ ফাগুন হয়ে ফোটে যে অভাগা ফিরে ফিরে কষ্টে পাওয়া একটি তারা গোনে তাকেই কেন আস্কারা দাও ছায়াপথে লক্ষ তারা বনে
‘সাঁতার শেখোনি ভালো’  বলে - নিয়ে গেলে উত্তুঙ্গ পর্বত বললে, এইখানে স্তব্ধ দাঁড়াও চোখের ভেতরে চোখ  খুলে দেখো একটু শ্বাসকষ্ট হতে পারে, তাও ভয় পেয়োনা না একেবারেই মোলায়েম হয়ে আছে মাটি বিশল্যকরণীর সুগন্ধ মাতলামি বাতাসে ঘাসে ঘাসে আকাশ পাতাল হিমপাতে সাদা তার উপরে এসে পড়েছে দুধে আলতা আলোর ছটা ভাবি, আমি কী বেঁচে আছি - কত উঁচু এই পাহাড়ের চূড়া কী অজানা এই সানুদেশ আমি কি ভাসছি হাওয়ায় অনেক নিচে চক্রবালের সীমায় নিঃসঙ্গ তিলের মতো একটি তারা ফুটে আছে ঈষৎ তামাভ
ভাঙিনি কিছুই, শুধু ছুঁয়েছি শিহরিত স্বচ্ছতা দেখিনি কিছুই, শুধু দৃষ্টি ঢেকেছে অনচ্ছতা বাঁধিনি বাঁধনে, ছন্দে ছাঁদে ধরা তাকে ধৃষ্টতা মুঠোর বাঁধন দিয়েছি খুলে গোপন রক্তকথা বোঝেনি কিছুই, শুনেছে শুধু ‘যা, যেথা ইচ্ছা সেথা’
ওইখানে ডুবে মরে যেতে পারি বলছ অভয় বটে জলপরি - এই দেখো চর দেখো প্রবাল দেখো তিরতিরে কাঁপনের সোনা দেখো সুগভীরে অনেক অচেনা বলে টেনে নাও অসীম অতল আঁধার খিদের দিকে অনায়াসে রুপোলি মাছের মতো মীনাক্ষী তালু ভরে দিতে চাও উচ্ছল অতটা গভীরে সহজ সচল নই, চুল থেকে নখ ভিজে যেতে ভয়, রক্ত এসে জমা হয় মুখে নির্দায় চলে আসি সব ফেলে  বালির আখরে সোনালি চড়ায়    নির্ভার কিছু মায়া থেকে যায়
দুটি মুক্তাও একটি ঝিনুকে        হঠাৎ কখনো চমকে তোলে নির্জন                 হৃদয় সাগর শাসনে ঘেরা উদ্যত         ফণায় ভ্রূকুটি তীক্ষ্ণ সজাগ পাহারা      কঠিন হাতে নেয়া তাকে অতটা সহজ                           সরল বৈষ্ণবীয় না, কিছুটা শাক্ত                           সাধনা আকাঙ্ক্ষা জ্বরে সতেজ সবেগ  বেদনা বাদিয়ার সুরে ভরে দিলে খুব     বাঁশিতে রক্তিম ডানা খুলে যায় তার                          চকিতে একটি ঝিনুকে যৌথ মোতির                            জৌলুস জোড়া রক্তিম সলজ্জ ফল        আবেগে চেয়ে থাকে কবে তুলে নেবে তাকে                                             পৌরুষ
আগুন চেনানো হৃদয় সজোরে উপড়ে খায় শানিত ঈগল ঠোঁট কঠোর শাস্তি নামে দারুণ পাথুরে নির্দয় আগুনে তাতানো হাতের কব্জিতে নাচে শৃঙ্খল চোখের আলোয় যে দেখে তার নিজস্ব ধ্রুবতারা অন্ধ করেছে তাকে নিজ ইডিপাস হাত যার দিকে পথ গেছে পড়শি নগরে তার বাস মাঝে উচু বেড়া ঈর্ষার পতিত ঊষর জমিন নদীর কিনারে বাসা যার কাছে যেতে চাই তার উত্তাপে পুড়ে যায় মুকুট, ডানার পালক দুজন অন্ধ নাবিক একই অসুখে ঘোরে এক বন্ধ নগরে
একটি মুক্তা পেয়েছি দুইটি ঝিনুকে ঝুটা নয় নয় তিন সাচ্ এই বয়ানে প্রহেলিকা মনে হতে পারে তবে কিছুটা খুব পুরাতন জানা চেনা সেই ধোঁয়াশা গাছের তেতুল চাটে কুম্ভীরে অথবা শুণ্ডিনী চুপে দু’ঘরেতে যায় নিশীথে চাঁদের গায়েতে লেগেছে চাঁদের জোছনা দোয়া দুধ যায় ঢুকে পুনরায় এমন সত্যির মতো সহসা পেয়েছি একটি স্বর্ণালী মোতি দুইটি ঝিনুকে বালিতে মিথ্যে নয়তো দারুণ সহজ বোঝানো গুরুদেব নয় জীবন পুছিয়া তা জানো
বুদ্ধের চাঁদ উঠেছে ফের যুদ্ধের ফাঁদ ফেঁসেছে কই মাংসের স্বাদ বেড়েছে বেশ হিংসার মার বেড়েছে খুব শাক্যের হাড় পেয়েছে টের মানুষের দিন গিয়েছে ঢের জীবনের ঋণ পড়েছে জের সুজাতা গান গাইছে তবু পিপ্পল ছায়া দিচ্ছে ধীরে বজ্রের ঘোর শাসন ভেঙে জ্যোৎস্নার আলো নামছে চিরে শাস্তার ঠোঁটের হাসির মতো ভবিষ্যের গান উঠছে বেড়ে পায়েসের স্বাদ উঠবে জমে করুণায় শোক ভিজবে জেনে আঁধার ভেঙে বাঁধন ছিঁড়ে বুদ্ধের চাঁদ আসছে ফিরে
আজ এসো ভিন্ন খেলা হোক - যেন না-চেনা অজানা কোনো অন্য লোক এসেছে বাড়িতে আজ রাস্তা ভোলা শোক  এলোমেলো খুব তপ্ত ঝাঁঝাঁ রোদে পোড়া পাক সে পা-ভেজানোর শান্ত দিঘিজল ঘাড় মাথা বুক পিঠে ভেজা-গামছা স্বাদ মিলুক টুকরো গুড় বা গুড়ের বাতাসা তালপাতার মায়াবিনী পাখার বাতাস ধারগুলো কোঁচানো খুব ফিতে রঙে লাল আলতার আলপনা আঁকা শিরায় শিরায় কাঁচা হাতে লেখা আছে শান্তির শোলোক সুদীর্ঘ মাধবীলতা-বিকেল পেরিয়ে বেলফুল বকুল চাঁদ জ্যোস্না দাওয়ায় চেনাও স্বর্গের তাকে সব সিঁড়ি ধাপ জীবনের অমৃতের অক্ষয় কলস চেনা চেনা আঘাটা ও ঘাট ভেঙে যাক ভিজে, স্বপ্নের মতন যেন ইন্দ্রজালে খেলার ভেতরে এক অন্য সত্য খেলা ঘুমিয়ে পড়ুক ঢলে প্রার্থিত নিদ্রায় সুখস্বপ্নেও দেখেনি তেমন সে ঘুম এসো সেই অন্য খেলা হোক ভাবো বাড়িতে এসেছে ভিন্ন কোনো লোক
ওড়ার আকাশ চালডালমাছ কলাডিমশিম শাকমাংসের ভেতরেই খাক্      টুকরো চিলতে স্বপ্নের মাঠ ওড়ার আকাশ চালডালমাছ কলাডিমশিম শাকেরভেতরে একটুকু থাক      টুকরো চিলতে স্বপ্নের হাট
উন্মুখ হয়ে আছি খুব খুব অতল জলের নিচে ডুব ডুব যখন কথারা ছিল লাখে লাখে বাক্যের ফুল ছিল শাখে শাখে ভাষাহীন ভাষা আজ চোখে চোখে সংকেত বাণী ওড়ে দিকে দিকে খুব খুব হয়ে আছি উন্মুখ চুপ চুপ যেতে চাই সম্মুখ উন্মুখ আছি হয়ে খুব যে সে বার্তা নিয়ে যাবে বয়ে কে?
যুদ্ধে ও প্রেমে অন্যায় নেই কিছু কোনো আদরে জড়িয়ে খুব জিভেতে কামড় কান বাহু নাভি বুকে অল্প রক্তপাত এই বৃহৎ গণতন্ত্রে ভোটযুদ্ধে আহত নিহত চাল চুলোয় আগুন লাগার মতন নগণ্য তুচ্ছ অতিশয় প্রেমে ও যুদ্ধে অন্যায় বলে কিছু নেই খুব অশান্তি ভেতরে মাথা চাড়া দিলে যুদ্ধকে প্রেম হিসেবে ভাবটা শাস্ত্রীয় নির্বিঘ্নে বোতাম ছিঁড়ে দাও এক টানে শত্রুর পতনই হবে একক উদ্দেশ্য দেশপ্রেম মহত্তম সাতিশয়
জানা গেল বিকল্প পথ - দারুণ রৌদ্র খরতর পন্থার পাশে ছায়াগলি বহমান ঘনীভূত সন্দেহ ঘোর মেঘে দৃষ্টি প্রখর, সূক্ষ্ম শ্রুতির তারে বেজে ওঠে রিন রিন প্রস্রবণ কত প্রাচীন কত সন্নিকটে কতদিন তবু দূরত্ব অভিমানে স্নিগ্ধ সরল সহজিয়া সদ্ গুরুও অজ্ঞাত সেসব - জানা গেল সংহত সংশয়ে গোপন অনুসরণে তাকে 
ছাড়পত্র পেয়ে গেলে কী সুখে বাসায় ফেরে জালালি কইতর ডানার আরামে মুখ চোখ চুবিয়ে উমসুম যে খড়গ লিখে দিল মুক্তির নিখিল তুলে নিয়ে সব দাবি বিজয়ের জোর তার খুব তেষ্টা পায় ঘুম
তীব্র না না না-এর ভিতরে পেটুক একটা  হ্যাঁ-এর বাসা অজগর ক্ষিদে হ’লে মালুম কেবলই মাথা নাড়ে তফাৎ যাও তফাৎ যাও ঝুটার মধ্যে মুক্তার ঝিলিক গাঢ়তর ঝিনুকের টানে চোরাবালি চর পেরিয়ে গলা জলে নেমেছে রসিক নুলিয়া করে ওঠে হায় হায় তাবৎ সংসারে গেল গেল রব চুল ভিজে যায় কালিমায় জগৎ আড়াল করা ঢেউ আপাদমস্তক গিলে বলে কতকাল অপেক্ষায় ছিলুম
এই জন্যেই তো প্রভু । অনন্তশয্যায় যাননি এজন্যেই তো ঈশ্বর । উঠে এসেছিলেন এজন্যেই বারংবার । তাকে হত্যা হতে হবে এই জন্যেই পোড়ে না । তীক্ষ্ণ কাঁটার মুকুট লেলিহানে টিঁকে থাকে । প্রত্ন ক্রুশের কাঠ মিথ্যে চুম্বনের দাগ । জ্বল-জ্বল করে তাঁর গালে ঈশ্বর বেঁচে আছেন । বলে তাঁকে মারা হবে ঈশ্বর হত্যা হবেন । বলে পুনরায় আসেন  দেবতার ঘামে রক্তে । বেদনা লাগে না মানুষের ঈশ্বর বহু হলেন । অনেক ঈশ্বর নামে এক ঈশ্বরের মৃত্যু । হবে অন্য দেব নামে    এজন্যেই তো প্রভুরা । ফিরে আসে, মরেন না ঈশ্বর হত্যা না হলে । অন্য ঈশ্বর বাঁচে না
ফিরে পেয়ে যাবে সব হারানো সম্পদ জিন্দেগিকে বাদ ভী-ও, যদি করে রাখ বিমা জীবনেও মিলে যেতে পারে কিছু লাভ  অধিকতর আসল স্বাদ রঙিন মহিমা সাজানো গোছানো আছে থরে থরে ক্রমে কিছুটা আসন আরো অপেক্ষায় শূন্য পড়ে  সেঁউতিতে পা দিলে সেটা হয়ে যাবে সোনা রাখবে কী রাখবে না দ্বিধা দোলা সংশয় ভাবনা মধ্যবিত্ত হৃদয়ের প্রতিরক্ষা সেনা বড়োই সাধ্বী সেয়ানা তরঙ্গে বেণী ভেজে না খতিয়ান সামনে ধরে আরো ভাবো আরো মনে রেখো পেয়ে যাবে সব হারনো সম্পদ জিন্দেগিকে বাদ ভী-ও,  এ জীবনেও কিছুটা      
যখন কবিতা লিখি প্রবন্ধ বাঘের মতো বসে বসে দেখে হাসে সে ঘাড়ে দাঁত বসালে কবিতা সজল হয় অভিমানে চিঠি দেয় আমি কী তবে শুধুই অতীত বিস্মৃত বালি তখন আদর করি বলি ওহে বুলবুল এটাতো এপ্রিল ফুল
এসব কার কথা উদ্ধৃত করি এই ধরো সময়ের কাছে হাত পেতে থাকা অথবা রেকাবে রাখা হৃদয়ের টোস্ট চার চার খানা বা ধরো উদ্গ্রীব আকাঙ্ক্ষার চোখে ফুল ফুল ছাপ ভেতরের ঘরে কিছু ক্ষতি নয় ভুল নয় খুব অনন্তের কাছে ঋণে বাঁধা আছে শহর গঞ্জে ওড়া ফানুস স্তোকে গোপনীয় কবিতার ছেঁড়া পাতা এমন চোরা বাক্য পদের উৎস অস্বীকার করা অধমর্ণ জানো তবু স্বেচ্ছায় মৌচাক ছেড়ে শেষ দাবি সব ত্যাগ করে স্মিত ভাবো মানুষখানা সমস্যার ছিল বেশ