Posts

Showing posts from May, 2019
ওইখানে ডুবে মরে যেতে পারি বলছ অভয় বটে জলপরি - এই দেখো চর দেখো প্রবাল দেখো তিরতিরে কাঁপনের সোনা দেখো সুগভীরে অনেক অচেনা বলে টেনে নাও অসীম অতল আঁধার খিদের দিকে অনায়াসে রুপোলি মাছের মতো মীনাক্ষী তালু ভরে দিতে চাও উচ্ছল অতটা গভীরে সহজ সচল নই, চুল থেকে নখ ভিজে যেতে ভয়, রক্ত এসে জমা হয় মুখে নির্দায় চলে আসি সব ফেলে  বালির আখরে সোনালি চড়ায়    নির্ভার কিছু মায়া থেকে যায়
দুটি মুক্তাও একটি ঝিনুকে        হঠাৎ কখনো চমকে তোলে নির্জন                 হৃদয় সাগর শাসনে ঘেরা উদ্যত         ফণায় ভ্রূকুটি তীক্ষ্ণ সজাগ পাহারা      কঠিন হাতে নেয়া তাকে অতটা সহজ                           সরল বৈষ্ণবীয় না, কিছুটা শাক্ত                           সাধনা আকাঙ্ক্ষা জ্বরে সতেজ সবেগ  বেদনা বাদিয়ার সুরে ভরে দিলে খুব     বাঁশিতে রক্তিম ডানা খুলে যায় তার                          চকিতে একটি ঝিনুকে যৌথ মোতির                            জৌলুস জোড়া রক্তিম সলজ্জ ফল        আবেগে চেয়ে থাকে কবে তুলে নেবে তাকে                                             পৌরুষ
আগুন চেনানো হৃদয় সজোরে উপড়ে খায় শানিত ঈগল ঠোঁট কঠোর শাস্তি নামে দারুণ পাথুরে নির্দয় আগুনে তাতানো হাতের কব্জিতে নাচে শৃঙ্খল চোখের আলোয় যে দেখে তার নিজস্ব ধ্রুবতারা অন্ধ করেছে তাকে নিজ ইডিপাস হাত যার দিকে পথ গেছে পড়শি নগরে তার বাস মাঝে উচু বেড়া ঈর্ষার পতিত ঊষর জমিন নদীর কিনারে বাসা যার কাছে যেতে চাই তার উত্তাপে পুড়ে যায় মুকুট, ডানার পালক দুজন অন্ধ নাবিক একই অসুখে ঘোরে এক বন্ধ নগরে
একটি মুক্তা পেয়েছি দুইটি ঝিনুকে ঝুটা নয় নয় তিন সাচ্ এই বয়ানে প্রহেলিকা মনে হতে পারে তবে কিছুটা খুব পুরাতন জানা চেনা সেই ধোঁয়াশা গাছের তেতুল চাটে কুম্ভীরে অথবা শুণ্ডিনী চুপে দু’ঘরেতে যায় নিশীথে চাঁদের গায়েতে লেগেছে চাঁদের জোছনা দোয়া দুধ যায় ঢুকে পুনরায় এমন সত্যির মতো সহসা পেয়েছি একটি স্বর্ণালী মোতি দুইটি ঝিনুকে বালিতে মিথ্যে নয়তো দারুণ সহজ বোঝানো গুরুদেব নয় জীবন পুছিয়া তা জানো
বুদ্ধের চাঁদ উঠেছে ফের যুদ্ধের ফাঁদ ফেঁসেছে কই মাংসের স্বাদ বেড়েছে বেশ হিংসার মার বেড়েছে খুব শাক্যের হাড় পেয়েছে টের মানুষের দিন গিয়েছে ঢের জীবনের ঋণ পড়েছে জের সুজাতা গান গাইছে তবু পিপ্পল ছায়া দিচ্ছে ধীরে বজ্রের ঘোর শাসন ভেঙে জ্যোৎস্নার আলো নামছে চিরে শাস্তার ঠোঁটের হাসির মতো ভবিষ্যের গান উঠছে বেড়ে পায়েসের স্বাদ উঠবে জমে করুণায় শোক ভিজবে জেনে আঁধার ভেঙে বাঁধন ছিঁড়ে বুদ্ধের চাঁদ আসছে ফিরে
আজ এসো ভিন্ন খেলা হোক - যেন না-চেনা অজানা কোনো অন্য লোক এসেছে বাড়িতে আজ রাস্তা ভোলা শোক  এলোমেলো খুব তপ্ত ঝাঁঝাঁ রোদে পোড়া পাক সে পা-ভেজানোর শান্ত দিঘিজল ঘাড় মাথা বুক পিঠে ভেজা-গামছা স্বাদ মিলুক টুকরো গুড় বা গুড়ের বাতাসা তালপাতার মায়াবিনী পাখার বাতাস ধারগুলো কোঁচানো খুব ফিতে রঙে লাল আলতার আলপনা আঁকা শিরায় শিরায় কাঁচা হাতে লেখা আছে শান্তির শোলোক সুদীর্ঘ মাধবীলতা-বিকেল পেরিয়ে বেলফুল বকুল চাঁদ জ্যোস্না দাওয়ায় চেনাও স্বর্গের তাকে সব সিঁড়ি ধাপ জীবনের অমৃতের অক্ষয় কলস চেনা চেনা আঘাটা ও ঘাট ভেঙে যাক ভিজে, স্বপ্নের মতন যেন ইন্দ্রজালে খেলার ভেতরে এক অন্য সত্য খেলা ঘুমিয়ে পড়ুক ঢলে প্রার্থিত নিদ্রায় সুখস্বপ্নেও দেখেনি তেমন সে ঘুম এসো সেই অন্য খেলা হোক ভাবো বাড়িতে এসেছে ভিন্ন কোনো লোক
ওড়ার আকাশ চালডালমাছ কলাডিমশিম শাকমাংসের ভেতরেই খাক্      টুকরো চিলতে স্বপ্নের মাঠ ওড়ার আকাশ চালডালমাছ কলাডিমশিম শাকেরভেতরে একটুকু থাক      টুকরো চিলতে স্বপ্নের হাট
উন্মুখ হয়ে আছি খুব খুব অতল জলের নিচে ডুব ডুব যখন কথারা ছিল লাখে লাখে বাক্যের ফুল ছিল শাখে শাখে ভাষাহীন ভাষা আজ চোখে চোখে সংকেত বাণী ওড়ে দিকে দিকে খুব খুব হয়ে আছি উন্মুখ চুপ চুপ যেতে চাই সম্মুখ উন্মুখ আছি হয়ে খুব যে সে বার্তা নিয়ে যাবে বয়ে কে?
যুদ্ধে ও প্রেমে অন্যায় নেই কিছু কোনো আদরে জড়িয়ে খুব জিভেতে কামড় কান বাহু নাভি বুকে অল্প রক্তপাত এই বৃহৎ গণতন্ত্রে ভোটযুদ্ধে আহত নিহত চাল চুলোয় আগুন লাগার মতন নগণ্য তুচ্ছ অতিশয় প্রেমে ও যুদ্ধে অন্যায় বলে কিছু নেই খুব অশান্তি ভেতরে মাথা চাড়া দিলে যুদ্ধকে প্রেম হিসেবে ভাবটা শাস্ত্রীয় নির্বিঘ্নে বোতাম ছিঁড়ে দাও এক টানে শত্রুর পতনই হবে একক উদ্দেশ্য দেশপ্রেম মহত্তম সাতিশয়