Posts

Showing posts from October, 2021
যে ছন্দ দল মাপে প্রস্তুত হতে হতে একদিন ক্ষয়ে যাবো অবশেষে — সুন্দরকে যে দেখতে শিখে গেছে সে কোনো সিংহাসন চায় না। প্রতিবাদের আগে যে ছন্দ দল মাপে তাহাকে করুণা; প্রতিভার ছলে ফেঁসে গিয়ে বাজারের জালে, ঘোলা জলে মাছ — দোহাই সাজিয়ে সহজেই পার হয় সমস্ত দ্রাঘিমা। একদা চিৎকারের লগ্নিতে রুটি ফোলে সুখী গৃহকোণে এক রাজার বিরুদ্ধে লিখে যে কলমের নিব স্বর্ণাভ — ত্যাজ্য সে সমস্ত মিউজের। সব রাস্তায় পেরেক পুঁতে তসবি তিলকে করো জবাই — ধ্বজার বাহক তবু নই— সব গান অত সস্তা নয়! অমেরুদণ্ডী উপকথায় থুতু দেবে কালের জনতা, হাল হবে ছেঁড়া কাগজের। ছাল ছাড়াও, ফুটপাতে গাড়ি, কারাগারেতে বিচারবিহীন; অক্লান্ত পরিযায়ীর ডানা বন্দুকের নল তার চেনা, স্বস্তির দিকে যতই টানো ডাল তবু রৌদ্রে নিদ্রাহীন। যে জানে বিনিময়হীন লাভ, পান করে অস্থিরতা মায়া স্থাবরকে অবহেলা করে যে কিনেছে জঙ্গমের ঠিকানা তালুতে তার সুন্দর খেলে, কখনো শিকলি হয়ে ওঠে না।
ফিরে পড়ি 'লজ্জা' ফের পাই লজ্জা, খুলে পড়ে সজ্জা। ধর্মান্ধরা খেতে চায় অস্থি মাংস ও মজ্জা। 23.10.21
শ্বাসকষ্ট তন্ময় বীর     আমি শ্বাস নিতে চাই না ধর্মাবতার শুধু বেঁচে থাক শহরের ফুসফুস, গাছে ডালে তার  ফুটুক শৌখিন ফুল । নগর-স্বপ্ন মাপে কাটো আমাদের ডানা ফসলের মাথা । কাকতাড়ুয়ার চোখও দান করে দেব তার দিনকানা রোগে। মেঘ ফুঁড়ে ওঠা মহিম প্রাসাদ-দম্ভে যোগাবো আহার আনত নোকর সর্বদা। সুযুবতী লতা, নধর তরুণ দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে দেব ব্যালকনি টব। কেউ ‘শ্বাস নিতে পারছি না’ বললে খুব মায়া হয় মনে — আমরাতো মরে গেছি কবে!   তুই বেঁচে থাক আহ্লাদী শহর তুই সুখে থাক ননীর পুতুল   ধর্মাবতার তোমার আধীনে দিচ্ছি আমার তুচ্ছ বিমাহীন প্রশ্বাস । আপনি জানেন — শহর দারুণ অসহায় নিরুপায়! গ্রামের শ্বাসের বিনিময়ে যেন ‘সভ্যতা’ বেঁচে যায়।