Posts

Showing posts from 2020
  हलधर सेना   हिमालय का सुगन्ध अपने बदन पर लेप स्पर्श की है गहराई रहस्यलोक की मैदानों की नाभि पर सर रख सोता हूँ तुच्छ लोग समझते हो हमें?   रोम रोम में दहकती है बालियों की ओस स्वप्न में इकट्ठा कर रखा है धान से भरा खलिहान हथेली पर हैं गंगा रावी रेवा भीमा कान रोप सुनते हैं हम बिजलियों का गीत।   कंधों पर उठाए हल गैंती कुदाल निवारे हैं हम अहल्या का शोक पोषण पसीने का है ईख गेंहु और जौ में आदिम अनन्त मनुष्यता हैं हम।   रोज डुबाते, रुलाते, बहाते हो हमें सर तक जला, काट करते हो टुकड़े हमारे मौत से लौट चुके हैं हम इस बार – खत्म होगा रावणवध से यह दशहरा।   [ कवि तन्मय वीर रचित मूल बांग्ला कविता का हिन्दी रूपान्तर – विद्युत पाल]
হলধর সেনা সুবাস মেখেছি নগাধিরাজের অতল ছুঁয়েছি, রহস্যলোক মাঠের নাভিতে মাথা রেখে শুই আমাদের ভাবো নগণ্য লোক ?    রোমে রোমে জ্বলে শিষের শিশির স্বপ্নে জমানো গোলা ভরা ধান তালুতে গঙ্গা রাভি রেবা ভীমা কান পেতে শুনি বজ্রের গান। হাল কাঁধে নিয়ে গাইতি কোদালে শমিত করেছি অহল্যা শোক ঘামের পুষ্টি আখ গম যবে আমরা আদিম অনন্ত লোক। নিয়ত ডোবাও, কাঁদাও ভাসাও পুড়িয়ে আশির, কেটে করো ফালা প্রাণান্ত থেকে ফিরেছি এবার - সমাপ্ত হবে দশেরার পালা। 
. . শপথ ডুবিয়ে দাও, ভেজাও তোড়ে গ্যাস দিয়ে বা জলের তোড়ে রক্তে আছে মন্ত্র-টোনা বৃষ্টি মেখে শস্য বোনা থোড়াই কেয়ার রোষের আগন রোদের শাসন শীতের আঘন যতই শাসক চাবুক মারে কৃষক জেদের শিকড় বাড়ে ভেজাও চোবাও বাঁধো রোখো এই কথাটি লিখে রাখো গেলে যাবে জীবন যাবে ঘামের খামার অটুট রবে ফসল চাষার সুজন খাবে
 চির ক্ষুধাতুর চোখ তুমি মাঠ মেলে দাঁড়িয়ে রয়েছ বাতাস ঈষৎ মাতালের গান। তারায় তারায় জ্বলছে আকাশ মুঠো মুঠো ধানে ঘামের সুবাস। যত দূরান্তে ঘ্রাণের সীমানা তারপর স্মৃতি-জোনাকিরা জ্বলে। জীবন যতটা যেতে পারে যায় বাকিটা পূরণ করে আধো ছায়া। প্রত্যেক রাতে ইচ্ছাপত্র পুঁতে রেখে শুই।   না-জাগা সকালে স্বপ্নের চারা চোখ মে'লে যেন নবনীনরম ঘাসে সুনিবিড় শীতলতা মাখে।   না-ছোঁয়া গভীর রঙের স্রোতের ছায়াপথ চুমে শুষে নেয় সব - মহাজগতের হৃদয়ের ধ্বনি, শ্বাস, কাতরতা।। অশেষ তোমার দৃশ্য-মেলায় জন্মের পর জন্ম চারিয়ে জেগে আছি চির ক্ষুধাতুর চোখ।
সময়  এমনকি, বাঁধা নৌকাও খুলে চলে যায় ক্রমশ শিথিল বোঁটার ভেতরে লাগে ঘুম বোধনের পরে ভাসানের জলে আকুলতা শীত নেমে আসে, ভুলে যায় জয় এমনকি, দৃঢ় বাহুপাশ হয়ে আসে শ্লথ জীর্ণ শিকড় সুখের চাদর কাটে ঘুণ বেগবতী নদী পাশ ফেরে জেগে ওঠে চর নত শুয়ে পড়ে খাড়াই শপথ 
আমাদের কিছু করার নেই ঈশ্বর আমাদের কিছু করার ছিল না ঈশ্বর যেন ভুলে যায় যেন শিশু কাঁদেনাকো আর পাকস্থলীটা খাইয়েছিলাম বাজপাখিকে ঘুম ভেঙে দেখি ফের জন্মেছে পুরাতন খিদে তোমার কৃপায় 
অচেনা উল্কার দাগ শব্দ ধ্বনি ভেঙেচুরে দেখে নিই ঋতুর মহিমা ঋতুর ভেতরে পৃথিবী ছাড়ানো বিশ্বের জ্যোতি অপার আলোকিত অন্ধকারের কতটুকু জানি কাশফুল ঘাসফুল শিউলি সন্ধ্যামণি পারিজাত জুঁই সেখানে কীভাবে ছড়ানো রয়েছে অনন্ত সকালে দীর্ঘশ্বাস বিরহ শোক সুখের যন্ত্রণা, সম্ভোগ আমাদের অনিত্যের মতো কিনা রহস্য জটিল ছন্দ যতি মাত্রা কলা ছেদ এঁকে অনুমান করি কিছু কিছু  অচেনা উল্কার দাগ বিস্ময় চিহ্নেতে এলেখায় লেগে থাকে আকস্মিক শব্দের আঘাতে    
জেগে ওঠে সত্য সাঁই সুষমাকে ফেলিয়া এসেছি নির্মম সুদূরে অসম্ভব, নিরুপায় ফেরা অঞ্জলি খেয়ায় নিরর্থ  রক্তপাত শস্ত্রের  শানিত বিজয় মুছে গেছে  সরল পথের সবুজ সজল মেঘে মেঘে হতাশা বোলানো নক্ষত্র আকাশ ছেঁড়া রামধনু এলোমেলো রঙের বিন্যাস অগত্যা অন্তিম বিকল্পের সমুখে দাঁড়াই মরা গাঙে অন্ধ পাল তুলি বদর বদর অহল্যা দ্বীপের বুকে জেগে ওঠে সত্য সাঁই     
অন্ধকারের ভেতরে হাত পেতে বসি নীহারিকা নাভি থেকে জ্যোতিরশ্মিরেখা গড়িয়ে নামুক এসে অঞ্জলি-তৃষ্ণায় বাঁধা হাতে প্রার্থনাই অনন্য-উপায় ওইতো একেকটি তারায় ওষধির মায়া সুদীপ্ত সাজানো আছে আঁধারের চালে  কোনোটাতে ভিড় করে স্মৃতি নিরাময়  গায়ে কারো লেগে আছে স্পর্শের স্ফটিক লাজুক শিশিরে ভেজা মাতাল ঝিক্‌মিকি  ভেতরেতে এসে কেউ খুব ঢুকে পড়ে কারো শ্বাস পল্‌কা করে শিকলের মালা নিঃস্বপ্ন রাতের ঘুমে ফুল হয়ে ফোটে ভেবেছ বেঁধেছ খুব আচ্ছা জনে-ধনে বেন্ধেছ হাত পা তবু, মন বাঁধবে কেম্‌নে ?  
  আমিই আসল রবীন্দ্রনাথ বেড়ার পাঁচিল ভাঙল বলে তাদের উপর যে রাগ করো তোমরা যখন কেজি দরে রবির বইয়ে নিলাম ধরো           তার বেলা? কলকাতাতে ডেকে এনে ঠেসে মারো অস্ত্র করে দাড়ি ছিঁড়ে শ্রদ্ধা করো, প্রণাম করো ঘটা করে                তার বেলা?   ওখানে নেই রবিঠাকুর, এখানে নেই, কোনোখানে নেতায় টানে মন্ত্রী টানে নোবেল খানা চোরে টানে টানাটানি খামচাখমচি সার হল তো শেষেরবেলা অবাক হয়ে তাকিয়ে দেখো হাট বসেছে শ্রাদ্ধমেলা হরির লুটের কাদায় পড়ে সংস্কৃতির বাঁদর-নাচ তলায় তলায় পাক্কা হিসেব ঘোলা জলে ধরছে মাছ   বিশু তখন আমার ভিতর কোপাই তীরে মেলে দু-হাত অট্টহাস্যে বলছে জোরে আমিই আসল রবীন্দ্রনাথ