Posts

ওইখানে ডুবে মরে যেতে পারি বলছ অভয় বটে জলপরি - এই দেখো চর দেখো প্রবাল দেখো তিরতিরে কাঁপনের সোনা দেখো সুগভীরে অনেক অচেনা বলে টেনে নাও অসীম অতল আঁধার খিদের দিকে অনায়াসে রুপোলি মাছের মতো মীনাক্ষী তালু ভরে দিতে চাও উচ্ছল অতটা গভীরে সহজ সচল নই, চুল থেকে নখ ভিজে যেতে ভয়, রক্ত এসে জমা হয় মুখে নির্দায় চলে আসি সব ফেলে  বালির আখরে সোনালি চড়ায়    নির্ভার কিছু মায়া থেকে যায়
দুটি মুক্তাও একটি ঝিনুকে        হঠাৎ কখনো চমকে তোলে নির্জন                 হৃদয় সাগর শাসনে ঘেরা উদ্যত         ফণায় ভ্রূকুটি তীক্ষ্ণ সজাগ পাহারা      কঠিন হাতে নেয়া তাকে অতটা সহজ                           সরল বৈষ্ণবীয় না, কিছুটা শাক্ত                           সাধনা আকাঙ্ক্ষা জ্বরে সতেজ সবেগ  বেদনা বাদিয়ার সুরে ভরে দিলে খুব     বাঁশিতে রক্তিম ডানা খুলে যায় তার                          চকিতে একটি ঝিনুকে যৌথ মোতির                            জৌলুস জোড়া রক্তিম সলজ্জ ফল        আবেগে চেয়ে থাকে কবে তুলে নেবে তাকে                                             পৌরুষ
আগুন চেনানো হৃদয় সজোরে উপড়ে খায় শানিত ঈগল ঠোঁট কঠোর শাস্তি নামে দারুণ পাথুরে নির্দয় আগুনে তাতানো হাতের কব্জিতে নাচে শৃঙ্খল চোখের আলোয় যে দেখে তার নিজস্ব ধ্রুবতারা অন্ধ করেছে তাকে নিজ ইডিপাস হাত যার দিকে পথ গেছে পড়শি নগরে তার বাস মাঝে উচু বেড়া ঈর্ষার পতিত ঊষর জমিন নদীর কিনারে বাসা যার কাছে যেতে চাই তার উত্তাপে পুড়ে যায় মুকুট, ডানার পালক দুজন অন্ধ নাবিক একই অসুখে ঘোরে এক বন্ধ নগরে
একটি মুক্তা পেয়েছি দুইটি ঝিনুকে ঝুটা নয় নয় তিন সাচ্ এই বয়ানে প্রহেলিকা মনে হতে পারে তবে কিছুটা খুব পুরাতন জানা চেনা সেই ধোঁয়াশা গাছের তেতুল চাটে কুম্ভীরে অথবা শুণ্ডিনী চুপে দু’ঘরেতে যায় নিশীথে চাঁদের গায়েতে লেগেছে চাঁদের জোছনা দোয়া দুধ যায় ঢুকে পুনরায় এমন সত্যির মতো সহসা পেয়েছি একটি স্বর্ণালী মোতি দুইটি ঝিনুকে বালিতে মিথ্যে নয়তো দারুণ সহজ বোঝানো গুরুদেব নয় জীবন পুছিয়া তা জানো
বুদ্ধের চাঁদ উঠেছে ফের যুদ্ধের ফাঁদ ফেঁসেছে কই মাংসের স্বাদ বেড়েছে বেশ হিংসার মার বেড়েছে খুব শাক্যের হাড় পেয়েছে টের মানুষের দিন গিয়েছে ঢের জীবনের ঋণ পড়েছে জের সুজাতা গান গাইছে তবু পিপ্পল ছায়া দিচ্ছে ধীরে বজ্রের ঘোর শাসন ভেঙে জ্যোৎস্নার আলো নামছে চিরে শাস্তার ঠোঁটের হাসির মতো ভবিষ্যের গান উঠছে বেড়ে পায়েসের স্বাদ উঠবে জমে করুণায় শোক ভিজবে জেনে আঁধার ভেঙে বাঁধন ছিঁড়ে বুদ্ধের চাঁদ আসছে ফিরে
আজ এসো ভিন্ন খেলা হোক - যেন না-চেনা অজানা কোনো অন্য লোক এসেছে বাড়িতে আজ রাস্তা ভোলা শোক  এলোমেলো খুব তপ্ত ঝাঁঝাঁ রোদে পোড়া পাক সে পা-ভেজানোর শান্ত দিঘিজল ঘাড় মাথা বুক পিঠে ভেজা-গামছা স্বাদ মিলুক টুকরো গুড় বা গুড়ের বাতাসা তালপাতার মায়াবিনী পাখার বাতাস ধারগুলো কোঁচানো খুব ফিতে রঙে লাল আলতার আলপনা আঁকা শিরায় শিরায় কাঁচা হাতে লেখা আছে শান্তির শোলোক সুদীর্ঘ মাধবীলতা-বিকেল পেরিয়ে বেলফুল বকুল চাঁদ জ্যোস্না দাওয়ায় চেনাও স্বর্গের তাকে সব সিঁড়ি ধাপ জীবনের অমৃতের অক্ষয় কলস চেনা চেনা আঘাটা ও ঘাট ভেঙে যাক ভিজে, স্বপ্নের মতন যেন ইন্দ্রজালে খেলার ভেতরে এক অন্য সত্য খেলা ঘুমিয়ে পড়ুক ঢলে প্রার্থিত নিদ্রায় সুখস্বপ্নেও দেখেনি তেমন সে ঘুম এসো সেই অন্য খেলা হোক ভাবো বাড়িতে এসেছে ভিন্ন কোনো লোক
ওড়ার আকাশ চালডালমাছ কলাডিমশিম শাকমাংসের ভেতরেই খাক্      টুকরো চিলতে স্বপ্নের মাঠ ওড়ার আকাশ চালডালমাছ কলাডিমশিম শাকেরভেতরে একটুকু থাক      টুকরো চিলতে স্বপ্নের হাট
উন্মুখ হয়ে আছি খুব খুব অতল জলের নিচে ডুব ডুব যখন কথারা ছিল লাখে লাখে বাক্যের ফুল ছিল শাখে শাখে ভাষাহীন ভাষা আজ চোখে চোখে সংকেত বাণী ওড়ে দিকে দিকে খুব খুব হয়ে আছি উন্মুখ চুপ চুপ যেতে চাই সম্মুখ উন্মুখ আছি হয়ে খুব যে সে বার্তা নিয়ে যাবে বয়ে কে?
যুদ্ধে ও প্রেমে অন্যায় নেই কিছু কোনো আদরে জড়িয়ে খুব জিভেতে কামড় কান বাহু নাভি বুকে অল্প রক্তপাত এই বৃহৎ গণতন্ত্রে ভোটযুদ্ধে আহত নিহত চাল চুলোয় আগুন লাগার মতন নগণ্য তুচ্ছ অতিশয় প্রেমে ও যুদ্ধে অন্যায় বলে কিছু নেই খুব অশান্তি ভেতরে মাথা চাড়া দিলে যুদ্ধকে প্রেম হিসেবে ভাবটা শাস্ত্রীয় নির্বিঘ্নে বোতাম ছিঁড়ে দাও এক টানে শত্রুর পতনই হবে একক উদ্দেশ্য দেশপ্রেম মহত্তম সাতিশয়
জানা গেল বিকল্প পথ - দারুণ রৌদ্র খরতর পন্থার পাশে ছায়াগলি বহমান ঘনীভূত সন্দেহ ঘোর মেঘে দৃষ্টি প্রখর, সূক্ষ্ম শ্রুতির তারে বেজে ওঠে রিন রিন প্রস্রবণ কত প্রাচীন কত সন্নিকটে কতদিন তবু দূরত্ব অভিমানে স্নিগ্ধ সরল সহজিয়া সদ্ গুরুও অজ্ঞাত সেসব - জানা গেল সংহত সংশয়ে গোপন অনুসরণে তাকে 
ছাড়পত্র পেয়ে গেলে কী সুখে বাসায় ফেরে জালালি কইতর ডানার আরামে মুখ চোখ চুবিয়ে উমসুম যে খড়গ লিখে দিল মুক্তির নিখিল তুলে নিয়ে সব দাবি বিজয়ের জোর তার খুব তেষ্টা পায় ঘুম
তীব্র না না না-এর ভিতরে পেটুক একটা  হ্যাঁ-এর বাসা অজগর ক্ষিদে হ’লে মালুম কেবলই মাথা নাড়ে তফাৎ যাও তফাৎ যাও ঝুটার মধ্যে মুক্তার ঝিলিক গাঢ়তর ঝিনুকের টানে চোরাবালি চর পেরিয়ে গলা জলে নেমেছে রসিক নুলিয়া করে ওঠে হায় হায় তাবৎ সংসারে গেল গেল রব চুল ভিজে যায় কালিমায় জগৎ আড়াল করা ঢেউ আপাদমস্তক গিলে বলে কতকাল অপেক্ষায় ছিলুম
এই জন্যেই তো প্রভু । অনন্তশয্যায় যাননি এজন্যেই তো ঈশ্বর । উঠে এসেছিলেন এজন্যেই বারংবার । তাকে হত্যা হতে হবে এই জন্যেই পোড়ে না । তীক্ষ্ণ কাঁটার মুকুট লেলিহানে টিঁকে থাকে । প্রত্ন ক্রুশের কাঠ মিথ্যে চুম্বনের দাগ । জ্বল-জ্বল করে তাঁর গালে ঈশ্বর বেঁচে আছেন । বলে তাঁকে মারা হবে ঈশ্বর হত্যা হবেন । বলে পুনরায় আসেন  দেবতার ঘামে রক্তে । বেদনা লাগে না মানুষের ঈশ্বর বহু হলেন । অনেক ঈশ্বর নামে এক ঈশ্বরের মৃত্যু । হবে অন্য দেব নামে    এজন্যেই তো প্রভুরা । ফিরে আসে, মরেন না ঈশ্বর হত্যা না হলে । অন্য ঈশ্বর বাঁচে না
ফিরে পেয়ে যাবে সব হারানো সম্পদ জিন্দেগিকে বাদ ভী-ও, যদি করে রাখ বিমা জীবনেও মিলে যেতে পারে কিছু লাভ  অধিকতর আসল স্বাদ রঙিন মহিমা সাজানো গোছানো আছে থরে থরে ক্রমে কিছুটা আসন আরো অপেক্ষায় শূন্য পড়ে  সেঁউতিতে পা দিলে সেটা হয়ে যাবে সোনা রাখবে কী রাখবে না দ্বিধা দোলা সংশয় ভাবনা মধ্যবিত্ত হৃদয়ের প্রতিরক্ষা সেনা বড়োই সাধ্বী সেয়ানা তরঙ্গে বেণী ভেজে না খতিয়ান সামনে ধরে আরো ভাবো আরো মনে রেখো পেয়ে যাবে সব হারনো সম্পদ জিন্দেগিকে বাদ ভী-ও,  এ জীবনেও কিছুটা      
যখন কবিতা লিখি প্রবন্ধ বাঘের মতো বসে বসে দেখে হাসে সে ঘাড়ে দাঁত বসালে কবিতা সজল হয় অভিমানে চিঠি দেয় আমি কী তবে শুধুই অতীত বিস্মৃত বালি তখন আদর করি বলি ওহে বুলবুল এটাতো এপ্রিল ফুল
এসব কার কথা উদ্ধৃত করি এই ধরো সময়ের কাছে হাত পেতে থাকা অথবা রেকাবে রাখা হৃদয়ের টোস্ট চার চার খানা বা ধরো উদ্গ্রীব আকাঙ্ক্ষার চোখে ফুল ফুল ছাপ ভেতরের ঘরে কিছু ক্ষতি নয় ভুল নয় খুব অনন্তের কাছে ঋণে বাঁধা আছে শহর গঞ্জে ওড়া ফানুস স্তোকে গোপনীয় কবিতার ছেঁড়া পাতা এমন চোরা বাক্য পদের উৎস অস্বীকার করা অধমর্ণ জানো তবু স্বেচ্ছায় মৌচাক ছেড়ে শেষ দাবি সব ত্যাগ করে স্মিত ভাবো মানুষখানা সমস্যার ছিল বেশ        
রেখে যাব কবিতার তিন নম্বর খাতা খানা পাণ্ডুলিপি কাটাকুটি জানতে চায় যদি কেউবা দ্বিধাহীন বলে দিও লোক বড়ো সিধে ছিল না দ্বিতীয় তৃতীয় চার প্রথম পঞ্চম খাতা যা যার যার কাছে আছে প'ড়ে দেখে নিতে ব'লো তা হয়তো সেখানে মিলবে স্বল্প খানিক সরলতা  সত্যি কথা দিও বলে লোক বড়ো সাদা ছিল না কেউ কেউ এরকম এক জীবনের ন'খানা পাতা দশ খাতে রেখে সুখ টান দেয় চুরুটে নড়াচড়াহীন শিলা শাখাপ্রশাখাহীন খাড়া ওরকম মোটেও না ব্যাপ্ত আকাঁড়া ও ঝাঁকড়া এক ডাল জলে ছোঁয়া আর দুএকটা শিকড় যে কোথায় লুকানো সেটা তুমিও কখনো দেখনি বলে দিও এতটুকু গোপন না করে ছলনা চেহারা যেমন হোক সে বড়ো সহজ ছিলনা
পথের সূচনা ও অন্তিমের মাঝে উন্মুখ হয়ে আছে মাধবীরলতা সূর্যমুখীর দেখা পেয়ে যেতে পারো ফুটেছে কিছুটা আর স্বপ্নের ভারে কুঁড়িরা দুলছে ঈষৎ লাজুক যেন ভুল করে যদি ভুল করে থাকো কান পেতে শোনো বনানীর গান হৃদয় বিলানো কামিনীর থোকা তুলে নিতে পারো চোখের খোঁপায় নাগরিক শ্বাস দোলাচল ভয় জোর করে কিছু ঠিক কোরো নাকো ফুলেরাই বলে দেবে নিরাময় সময়ের কাছে হাত পেতে দেখ স্রোতের আজান আলুথালুময় দীর্ঘশ্বাসের চুলে ঠোঁট রেখে মলিন পায়ের কাদা মুছে দিয়ে বলে সবটুকু নয় অপচয়
এইসব দেখে অন্তরে উল্লাস হয় খুব শিকল পরিয়ে বাঁধি নিজ হাত নিজে চাবি গিলে ফেলে উল্লাসে মাতি খুনে গোপনে প্রোফাইল ঘেঁটে দেখে আসি খুব রাতে জেগে আছো কিনা আত্মহত্যার ভষ্ম মাখি ফর্সা হওয়ার লোভে এই সব পুণ্য লেখা হবে সার্ভিস বুকে ভবিষ্যনিধির খাতা কাটাকুটিহীন সতী পাকা করে যাচ্ছি দেওয়ালের ভিত হৃদয় বন্দকী রেখে শোধ করা সব দেনা অযথা মরে গেলে ভুল করে কক্ষনো কোনো আঙুলও নাচবে না ক্রমশ পাথর করে নিচ্ছি অতল সজলতা শুধু বিলাসীকে মানায় বলে খুনিরও কী গোপন অশ্রু থাকবে না ?
কবি তো মোমের পুতুল খবরদার কেউ ছোঁবে না সাধ করে লিখতে এসে সে কেনো ঘেরাও হবে কবির ইচ্ছা যার খুশি তার মঞ্চে যাবে, কাওয়ালি গাবে কবির ইচ্ছা কোন মিছিলে যাবে কিম্বা নাইবা যাবে স্বর্গে কী ব্রথেলে শোবে তোমারও ইচ্ছা হলে কবিতা প্রোডাক্ট হলে উল্টো করে লাইক মারো কাব্য নালা ও নাব্য হলে কবিতায় কী আর ধোবে বড়জোর মুততে পারো কবিতা প্রোডাক্ট যখন কবিতা ছিঁড়তে পারো কবিতো মুনিষ মাত্র ওকে ছিঁড়লে কাঁচকলা কবিতো ফানুস মাত্র ওকে ছুঁলে ঝুটঝামেলা উহাকে শুঁকিয়া দেখো গন্ধেই জানান দেবে স্যাঁতা নাকি টাটকা শলা হতেই যদি হয় খুনি রক্তে যদি জোয়ার ডাকে তখন তুমি নিজেই লেখো একটা সজীব সঞ্জীবনী
কে আমার কবিতা পড়ে পেঁদাবো এক থাপ্পড়ে আমি কী তেমন কবি যে ইচ্ছা সে লাথাবি পক্ষে তোর না দাঁড়ালে গালাবি চার অক্ষরে যে আমার কবিতা পড়ে তাকে আমি চেঁচিয়ে পড়ি যে আমায় আদর করে আমি তাকে সুরতহালে ছিঁড়ে দেখি অতল তলে পেঁদাবো এক থাপ্পড়ে নিজিকে চিরে তা'পরে লবণে চেটে দেখি কীভাবে অশ্রু পড়ে আমি কী তেমন কবি যে ইচ্ছা সে চুমোবি বিষ রাখি তারি ঠোঁটে যে আমার প্রেমে মরে আমি কী তেমন কবি যে ইচ্ছা সে কামড়াবি পড়ি তার চরণতলে যে চরম ঘেন্না করে পেঁদাবো এক থাপ্পড়ে যে আমায় পেন্নাম করে
ফেলেছ কোন ফাঁদে অছিলায় বৃষ্টি নামে তরাজু বজ্রে কাঁপায় ইশারা ট্রাফিক সবুজ স্বর্গের দুয়ার ঈষৎ শিহরনে পেখম ছোঁয়া নিরস্ত্র ভোটারু হাত ত্রস্ত নোটায় দাবায় বাক্য যা চেঁচাতে চায় এলিয়ে যায় আর্তনাদে এ আমায় একী ভীষণ ফেলেছ কঠিন ফাঁদে ত্রিশঙ্কু মনের কোরাম নিঃসহায় ফেঁসে লুটায় ওই চোখের চাঁদে
প্রকৃত কাছে গেলে তন্ময় বীর কাছে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায় প্রতিশ্রুতি গলে পড়ে মহাবাহু জলে জলবন্দি দ্বীপলেখা সাশ্রু শ্লোকের কোনও মানে বই, টীকাভাষ্য নেই দেওয়ালে দেওয়ালে অতীত অভিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় পাঠে নিমগ্ন পাহাড় ময়ূরের অপেক্ষাগান বর্ষার রিংটোন কোনদিকে যাব ডাঙরিয়া ? সদ্য হাঁটতে শেখা বামন বড়াইলের সুরঙ্গ কাটে রবীন্দ্রসংগীত গায় মেখলামেয়ে বহমান অশ্রু চিরে ইতিহাস জেগে থাকে আলোকিত দীর্ঘতম সেতুটির মতো আমাদের ঈশ্বর ও আল্লা এক এবং একটিই সন্দেহচিরে দ্বিধাভক্ত সুরমা কুশিয়ারা প্রকৃত কাছে গেলে সারস ওড়ে না করতলে স্বর্ণালি স্মৃতির তর্পণ বালিয়াড়ি ডুবে যায় স্রোতে সেইসব স্বর্ণালি রুপোলি মীনেরা ভেসে উঠে অনায়াস ধরা দেয় ডোবেনা কখনো  
বরং কথাবার্তা চলুক উস্কানিমূলক তন্ময় বীর   কে মরে গেল আর কে থাকলো বেঁচে এসব নিয়ে কতক্ষণই-বা বিদ্যাচর্চা চলে ক্ষুরের ফলা থেকে লাফিয়ে নিস্তার কে না চায়? চাইলেই কী যায় নাকি বাঁচা দ্বারে দ্বারে লাঠিয়াল তাগাতাবিজদেবদেবী আল্লাখ্রিস্টঈশামুশালাফিংবুদ্ধাজননেতা সটান দাঁড়িয়ে আছে জনগণতান্ত্রিক দেশে। ভর্তুকিযোজনাবিমা এড়িয়ে সুপরিকল্পিত মরে যেতে নিরাসক্তি নির্মোহ লাগে অপরিমেয় নিছক নুনের বিজ্ঞাপনের লাস্য ছেড়ে বাথরুমে যেতে রাজি নই আমি ওসব অপ্রেম বঞ্চনা অবিশ্বাস ভাববার সময় যে কোথা থেকে যে আসে মানুষের! খুব বেশি হলে মলাট থেকে মুছে দেব শিরোনাম, রচয়িতা সম্পাদকের নাম নিরুচ্চার মলাটের ভেতর যেভাবে বাঁচে অ্যান্টি অ্যান্টি অ্যান্টি এবং অ্যান্টি জীবনের বিরুদ্ধে জীবনের প্রস্তাব কে মরে গেল আর কে থাকলো বেঁচে এসব নিয়ে কতক্ষণই-বা বিদ্যাচর্চা চলে বরং কথাবার্তা চলুক উস্কানিমূলক (সুবিমল মিশ্রের কিছু প্রসঙ্গ পরোক্ষে এসেছে এই কবিতায়)
সংযম তন্ময় বীর আমি কী ছোঁব না তাকে -- উজ্জ্বল নীলাভের নীচে জলময় শ্বাপদ জঙ্গলে চরাচর ভেসে যায় যদি সুবর্ণা মদিরার গ্লাস দূরাগত পরিযায়ীর দোহাই দূরত্ব লাঘবী দূরবীন যদি কিছু দেখে ফেলি লোভের ছোঁয়াচ লাগে ঝলকানো বিমুক্ত ডানায় মাছরাঙা তুমিও সাক্ষী জললীন মসৃণ ডলফিন বেঁধে রাখা ডুবে থাকা একাকী  সদল সাম্পান ঈষৎ কলঙ্ক যদি মাখি চিবুক রক্তিম হবে কবি, সংসারী, পানকৌড়ি বনরক্ষক বল্লমধারী পায়ে ফোস্কা ফেলে কিনারে এসে ফিরে যাবো-- যাওয়া কী ন্যায়ত হবে আমিষ অরণ্য থালায় নিরামিষ রেখে যাওয়া সভ্যতার দোহাই মেনে অতল জলজ নাবিক ডানার নাচন চেনা পক্ষিবিদ্‌ সমুদ্রসোহাগী ক্ষুরধা নদী দুঃসাহসী হংসমিথুন শঙ্খলাগা সাপ ও সর্পিণী ঝুঁকে থাকা জলস্পর্শী শাখা সজীব প্রচ্ছায়া তার সুবিস্তৃত লালসার চর বুনো ঘাসের ঘন আড়াল ঝাউ বনের শীৎকার বলো-- আমি কী ছোঁব না তাকে ঘুমাব না পাশে তার দুটো লতা দুটো সোঁতা শুয়ে আছে অসীম বিস্তার
বাংলাদেশের হৃদয় হতে তন্ময় বীর বুলেট এসে লেগেছে এই হাতে বুকে মুখে চোখে এর পর আর কে লিখতে পারে, অন্তত শান্তিতে রক্তপায়ী ওই কোন দেশপ্রেমী ধর্মপ্রাণ ঈশ্বরের সেনাপতি উল্লাসে ফেটে পড়ে শস্ত্রের, আঁধারের, মৃত্যুর কারবারি এর পর কে ভাবতে পারে ছন্দের সুরের বাঁধন ধারালো ধাতব সটান এসে বসেছে গভীরে এখনও শুকায়নি সে বজ্র বিদ্যুৎ কান্নার দাগ সেই চোখে এর পর কে দেখে ভোরের স্বপন যদি কেউ এর পর মানুষকে অবিশ্বাস করে যদি কেউ এর পর মনুষ্যত্বে বিশ্বাস হারায় কাটা শির কাকে আর কবিতা শোনাবো যন্ত্রণায় নীল নিথর নির্বাক চুল থেকে নখ কি লিখব, কি বলব চুপ করে থাকা তাও কি পোষায় সাদা কালো গোয়েরনিকা শাহাবুদ্দিন, ওরকম সুতীব্র যদি মৃত্যুর দিকে ছোটে  অন্ধ অস্পষ্ট সমগ্র আগামীর শরীর বল্গাহীন কথা যদি না শোনে লালনের বিশ্বস্ত একতারা গাড়ি যদি সত্যি সত্যি না চলে করিম বড়ো অন্ধকার বিষম ভাবনা বুঝে ওঠা দায় পদ্মা মেঘনা তিস্তায় ডুবন্ত নাও ঝিলমিল কোন দূরবিনে পথ দেখে মাঝি নিশ্চিত বাঁচায় মরীচিকা অন্ধকার মুর্শিদ, ক্রমশ বাড়ে আঁচড়ায় জীবনের প্রেমহীন প্রান্তরে, সিং দরজায় মৃত্যু এসে চেপেছ দুই কাঁধ
বৃষ্টি পড়ে এমন ভরা বর্ষাকালে কেউ কাছে না থাকলে পরে সৃষ্টিছাড়া বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে স্মৃতি জুড়ে তেমন করে ভেজার মতো ডাকছে না কেউ গভীর কালো মেঘের ভারে দিনের চালে রাতের চালে একনাগাড়ে উথাল পাথাল মনকেমন বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে শহর ভরে পুকুর পাড়ে গ্রামঞ্চলে বার্তা ভেজে  চিকুর ভেজে আলগা বাঁধন সুসংযমে পঙক্তি চরণ তেপান্তরে তটাঞ্চলে আঁধার করে অর্থহীন কিম্বা গভীর অর্থপূর্ণ এলোমেলো ভীষণ ভারি ভীষণ জেদি বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে
নিতান্ত পোশাক মাত্র নয় তারও ভেতরে এত গোপনীয় তোমাদের দেখে শেখা দুয়ারে আগল, তালাচাবি সভ্যতার অবিশ্বাসী আমদানি আমাদের বাঁশি চুরি করে তোমাদের ঠাকুর প্রেমিকা কাঁদায় বিরহ ছিল না আমাদের, মরদ মরদ ছিল মেয়েদের পাশে তাকে পুরুষ মনে হতনা কখনও মহেঞ্জোদাড়ো লোথালের নীচে কি ভালো যে আছে শবের শরীর অনার্য আরক মাখা এই যোনি জন্ম উপত্যকা এই স্তনাগ্রে অমৃতসুধা পিতৃশিশ্নে জন্মবীজ তোমরাই জ্ঞানাঞ্জনচক্ষুশলাকা তোমারি কল্যাণে আজ চোখ ফোটে কম্পিত সভয় আমার সন্তানের অপত্য দেখে জনক জননীর লজ্জাহীন পৌরাণিক মহিমা শরীর যে ভীষণ লজ্জা শরীর যে ভীষণ নাজুক শরীরের শাঠ্য শোষণ রাজনীতি তোমারা শেখালে যে পোশাক তোমাদের দান আমাদের তুলো দিয়ে বোনা সভ্যতার নির্লজ্জ সেনা নিজেরাই ছিঁড়ে নিচ্ছ দিবালোকে সন্তান সাক্ষী রেখে জনারণ্যে হুহুঙ্কার তেজে প্রায় বিস্মৃত কেশরীবিক্রম মাতঙ্গিনী মাতৃমাতন পিতার বাহুতে বুকে শিরায় থাবায় নখে শান তীব্র চোখ গর্জনের নাদ মায়ের স্তনবৃন্ত নিতম্বের কঠিনে প্রতিহত সুসভ্য কামুক আঁধার ঘন তিমির কেটে অরণ্য অতল থেকে বল্লম ও
মহারানি মহারাজা আমি অনুগত খোজা এসব লিখব বলে লিখিনি কিন্তু অচেতনে সত্য ও সোজা এড়িয়ে গেছি সর্বদা কোথাও বীর্যের গন্ধ খুঁজে পবেনাকো তুমি সামান্যতম উত্থিত পতাকা এসব লিখব বলে লিখিনি কিন্তু কাগজের বাঘ, নৌকা সাগরের দারুণ জলে ভাসিয়ে কুড়িয়েছি হাজারও বাহবা মহারানি মহারাজা যাসব লিখব বলে লিখিনি কিন্তু মরে যায়নি খামকা ঘুমিয়ে রয়েছে অজগর চুপে যাসব লিখেছি সব তোমার লেখনী দিয়ে আমার ব্রহ্মাস্ত্র রয়েছে সিন্ধুকে 
কবি তাপস আছি রাতদিন ঘরে বসে জং ধরেছে ঠ্যাং মজ্জায় ফোনে ধরি - হে, তাপস রায় ... ডাক আসে এক কাব্যের আড্ডায় লেখা জমে গেছে ঘন টন্‌ টন্‌ লাগে চাপা মনটায় ফোনে ধরি - হে, তাপস রায় ... ঠিক ছাপা হয় এক পত্রিকায় পিঠে বাঁধা তাঁর চলমান এক ডাকবাক্স মাথায় অবিরাম অলোকরঞ্জন আলোক রায় শনি রবি কফি মগে হৈ হৈ আড্ডায় যাকে ঘিরে বসে যায় কবিতার মক্‌শো খুঁজে পেতে সুইনহোতে কবিকে ছাপায় চুল হিজিবিজ চাপকান দাড়ি ভোরে উঠে ব্যস্ত যোগায়  তাঁর নাম তাপস হে, তাপস রায়