Posts

মাতাল হওয়ার রাত

দেখো, আলোয় আলোয় আকাশ উথাল; আজকে মাতাল হওয়ার দিন। পুড়িয়ে দেয়ার শূন্য করার ফানুস ওড়ার.... শব্দে ভীষণ নিজেকে চৌচির ৷ শোনো, আজকে তামস মোছার রাত্রি ; চোখের তারায় রক্তজবায় মুন্ডু কাটার... উঁচিয়ে কৃপাণ ভাঙছি জঞ্জির ৷ আজকে মাতাল হওয়ার রাত আজকে মুক্ত হাওয়ায় নেশা, ঘূর্ণিঝড়ে নাভিতে রেখে দাঁত অন্ধকারের উৎস উৎখাত ৷

নীরবতা

জানি আজ কথা বলতে সংকোচ অক্ষত নেই খুলে দেখানোর মতো গৌরবে৷ রাতের পর্দার রং ধোয়া দিনের আলো- চোখের কোনায় ও কণ্ঠের সচরাচরের উপর হেমন্তের দ্বিধা এসে পড়ে খণ্ডিত৷ যদি কচি কলাপাতা সবুজ এসে সামনে, সরোবরের স্বচ্ছ ঢেউ এসে আনত ইথারের আকাশজিজ্ঞাসা বসে পাশে; শালসেগুনের রাজন্য বিষাদ নিয়ে চকমেলানো দেউড়িতে সপ্রশ্ন দাঁড়ায়?? নীরবতা ছাড়া আর কিছু ভাগশেষ নেই ৷ যেভাবে দঁডিয়ে থাকে রাজবাড়ি- বিত্তমধ্যের ভ্রমণ রোমাঞ্চের কঙ্কাল ঝলমলে ফটোর ফ্রেমে নিরুত্তর।

তরল বিদ্যুৎ বজ্রজল

সুখের শিঞ্জিনী বাজাতে বাজাতে রাজপথ দিয়ে চলেছো হংসিনী; বিভাজিকা গ'লে যায় দাহ জ্বরে বীথিকার শাখায় পত্রে পল্লবে রুদ্ধশ্বাস শিহরন লাগে ঢেউয়ে। শ্লথ বোতামের আলো লাল নীল পীত জ্বলে আছে যানের নির্দেশ ছলে ৷ কী আর শেখাবে দিঘি জলাশয় কী আর রাঙাবে উৎসবের আলো ! পুলকের আবেশের ঘন মেঘদল গভীরে ভেজায় জামা আশ্লেষে সঙ্গমে ৷ সব নদী, সব জল পায়ের শাসনে - ভেসে যাচ্ছ মন্দাক্রান্তা উথাল পাথাল কীভাবে ফেরাবে থামাবে এ বেসামাল ছলচ্ছল তরল বিদ্যুৎ বজ্রজল !

বলো

যত জোরে না বলতে পারা যায় বলো- চীনের প্রাচীর পেরিয়ে এপারে উড়িয়ে দেবে বিমর্ষ কুয়াশা ৷ এভাবে শুরু করা যায় চাষবাস নিষেধের টাঁড় ভাঙে নচিকেতা পণ ৷ নির্জলা চরে জাগে ঘাসের সবুজ শুকনো চৈত্র চেরে বসন্তপলাশ গান ৷ কেন ডেকে আনো দ্বিধার পসরা জড়তা তোমাকে কী দেয় ? ঈষৎ স্বার্থের স্বাদ আর কিছু নিশ্চিত প্রহরা !  
সবুজ আলোর নাম প্রতীক্ষা, চেয়ে থাকা,  দ্বিধাহীন হাসিমুখে বাধাহীন যেতে দেয়া তার কাঙ্ক্ষিত সুখে।  সবুজ আলোরা ঠিক  গৈরীক উদাস প্রেমিক।
  ভরসাগুলো কোথায় গেল? ভরসাগুলো কোথায় গেল? এতদিনের জমানো ধন তিলোত্তমা সভ্যতার সে ঘামে কেনা সোনা । চোখের দিকে তাকায় না কেউ হাতে হাত — অবিশ্বাসের উই শিকড় যেন বহুকালের বৃন্তেরও অচেনা । নেতা মন্ত্রী সেপাই সান্ত্রী টিকি টুপি খড়ম কষায় হীনজ্যোতি ফঙ্গবেনে অভয়হীন ও ত্যানা। ভরসাগুলো কোথায় গেল ? সুরক্ষিত আগ্নিবলয় আস্থা জমিন সুস্থ সবল আকাশ আলো এক ফুঁয়েতে কে নেভালো! নাকি সবই তেমন আছে চেতন-কোণে, চোখের তারায় শূন্য থালার ঈশান অগ্নি কানায় — নিজেই নিজের ঠুলি এঁটে কপটতর সুযোগবাদী ‘ভরসা নেইকো জলে স্থলে’ ব’লে — তফাত যাও-এর মেহের আলি গুছিয়ে নিচ্ছি নিজের ঘর। 

দৃপ্ত আমি

. কান্না পেলে যেন হেসে উঠতে পারি ঝিলমিলিয়ে উঠে চোখের রুপো জলে অন্ধদের ঠিক পথ দেখাতে পারি একলা হলে যেন একা গাইতে থাকি ভয়ের কারিকুরি ভেঙে দৃপ্ত হাতে জ্বালিয়ে আলো রাখি সুরে না দিই ফাঁকি
মায়াখেলা  ছন্দ জানিনাতো আমি, অতি মন্দ লোক, ছদ্মটানে ধরিতে চাই  মনযোগের বাহবা যশ জ্যোতি যাদুকরের মতন অনুপম -- কাজল চোখের পলক যেন বাঁকা মিথ্যে চোরা স্রোতের ছলে এসে থামে ঘেঁষে খাদের তীর ; নিরুপমা সাঁকোর উপর থির অস্ত আভায় সোনামাখা জলে। যদিও কিছু শিখেও থাকি তবুও ভুলে ভোলাবো দিগ্বিদিগ। পুরাণ মেখে দেখি ইতিহাস মায়ায় তুমি ফেঁসেছো অধিক ।
. কী খেয়ে হওয়ার ছিল মাতাল আর  কিসে পোড়াচ্ছি হাড়-মাস কোথাকার  টিকিট নিয়ে হাতে কোন গাড়িতে উঠি ভুলের ঘোরে তালু থেকে গড়িয়ে যাচ্ছে সব কাটা মাথা, রক্ত চাটে শিয়াল  কার কাছে শপথ ছিল জেতার  কার টানে মেতেছি এই হারায়
  চলাই   অন ­ ন্ত তন্ময় বীর     আর - তো ফিরে যেতে পা রবো না ­ —                  হেরে যেতেও প্রচণ্ড দ্বিধা                    মরে যেতে আপত্তি প্রচুর ।   অন্ত্যমিল দিতে দিতে দিতে     পদ্যকোকিলেরা অল্পরক্ত                পাঁজরে শঙ্কা , সাবধানী সুর।   রুদ্রজলে কে নৌকা ভাসাবে ?                সকলে গুড় ত্রিপল চায়                লাইনে ক্যানেস্তারা দাঁড়ায় !     অভিজ্ঞ পূর্বজ , পিতামাতামহ , তোমাদের অনুমিত মারি পৃথ্বী —     স্বপ্নের সন্ততিরা মিলিয়ে দেখ ছি, কত ঠিক ছিল নক্ষত্র - নির্দেশ ! সদাগরি বহরের পালে লাগে হাহাকারের অনুকূল বাতাস । সুয়োরানীদের সাধের সাতনরি ,   জ্যোৎস্নার সুতোয় বোনানো মখমল সোনার ডিমের মতো শুধু লাভ । ডোবা কিস্তি ভেসে ওঠে রা জ- বরে বিবিধ বিমায় সজ্জিত ঝলমল ।       মান্দাস অগণ্য ভাসে                   ডোবে দীর্ঘশ্বাস চম্পা নগরীর পচা               নিরুপায় লাশ ।                           স্বার্থে স্বার্থে আপসের বেঁধেছে সংঘাত ; তাই শূন্য সুনির্মল আত্মার উল্লাস অবিশ্বাসী চোখে জ্বলে ঈর্ষার