Posts

Showing posts from 2025

অসুর

আলপনায় ভরিয়ে দেব ভুবনজোড়ের বাসন্তী পাহাড়, শীর্ষ থেকে পাদমূল-ছুঁয়ে-থাকা ঝিলমিল নদীটির তীর। গান গাইতে কেন শেখালে না শরৎ-এর সবুজ, হেমন্তের শিশির, নবান্নের গন্ধলাগা ম্লান ঝরা ফুল ? অন্তিম ঋতুতে আর কার কাছে কৃতাঞ্জলি পেতে নেব তৃষ্ণার জল! অস্নাত আমের সোনালী মঞ্জরি- কীকরে ভেজাব তাকে আনমনে, শিশিরের পূর্ণিমা নিশীথে! এত যে আবিরের গুঁড়ো ইতস্তত এতে কোনও সুর নেই, লয়; কেউ এতে ডোবেনি গভীরে দুহাতের করতল পুড়েছে তালহীন নেশার নিতান্ত উদ্দামে। কেউ এতে ভেজেনি আ-শির, গানেপ্রাণেসুরেমনে আমূল বিদ্ধ করেনি কাউকে অতলে। শুধু দুচোখে পুড়েছে দৃষ্টি মাত্রাহীন নিমিত্তের উল্লাসে। রাঙিয়ে দিয়েছি সব উজ্জ্বল ফাগে নিজেও ভিজেছি খুব তরল ফেনায়- কেউই আন্তরিক দুঃখিত নয় কাঁদে একা ছিঁড়ে যাওয়া সরোদের তার। অকস্মাৎ অন্তরায় থেমে গেছে ধারা আভোগে আসেনি জোয়ার। কেন আমাতে গান দিলে না উদারামুদারাতারায় অচিন উড়াল-

নির্মম নূপুর

গ'লে যাচ্ছে তিরন্দাজী শিকারী শরীর ভারাট অঞ্জলি নিয়ে দূরে হাইড্রনজিয়া। স্বপ্নান্ধ চোখের পাতা খোলা র'য়ে গেছে আকাশের নীল ছায়া, মেঘ ও কুয়াশা; উপরের ঠোঁটে এসে প্রজাপতি বসে পাইন বনের গান সর্বক্ষণ ঘেরে..... নিষাদ মিলিয়ে যাচ্ছে একাকী নির্জনে তাকে গ্রাস করে শান্ত সকাল দুপুর.... পাশে বয়ে চলা নদী উজলা উদাস কানে তার ঢেলে দেয় নির্মম নূপুর।

নিহত নিষাদ

চঞ্চলা নদীর তীরে নিহত নিষাদ হাতের ধনুক খসা, ভেঙেছে তূণীর ছাড়ানো ছিটানো শর তখনো সতেজ তিনটে ধনেশ আসে সকাল বিকাল...... হয়তো আবার কোনো নতুন নাবিক কেউ দিগন্তের খোঁজে এসে যাবে দীর্ঘশ্বাস মেলানোর আগে !

অসহায়

সেই নদী ক্ষীণকায় তবু ক্ষুরধার, সাবধানে হাত রেখো পা অথবা আচমন.... কী কী কাড়বে হেসে ঠিক নেই তার ! তখন দিনের শেষে ফিরতে ডাকছে পাইন বনের হাতছানি পাহাড় চূড়োর আলো বন মোরগের ডাক.... নিজেকে চিনবে হায় মাতাল দৃষ্টিহারানো নিরুপায় তুমি এক ফাঁদে পড়া ব্যাধ!!

অতল

একদিন সেই ক্যানিয়নে যতদূর পারি নামব ভুলে যাব উত্থানের ইচ্ছে--- ক্ষুরক্ষীণকায় নদীর সুর সাতটি কুঁড়ে নিয়ে গাঁও উদূখলের আঁকাড়া চাল লাইপাতার উদাস ঘ্রাণ--- বৃষ্টিকুয়াশামেঘ কানে জিভ দিয়ে ব'লে যাবে - এর নীচে আর  নীচে নেই কোনও .......