অসুর
আলপনায় ভরিয়ে দেব
ভুবনজোড়ের বাসন্তী পাহাড়,
শীর্ষ থেকে পাদমূল-ছুঁয়ে-থাকাভুবনজোড়ের বাসন্তী পাহাড়,
ঝিলমিল নদীটির তীর।
গান গাইতে কেন শেখালে না
শরৎ-এর সবুজ, হেমন্তের শিশির,
নবান্নের গন্ধলাগা ম্লান ঝরা ফুল ?
অন্তিম ঋতুতে আর কার কাছে
কৃতাঞ্জলি পেতে নেব তৃষ্ণার জল!
অস্নাত আমের সোনালী মঞ্জরি-
কীকরে ভেজাব তাকে আনমনে,
শিশিরের পূর্ণিমা নিশীথে!
এত যে আবিরের গুঁড়ো ইতস্তত
এতে কোনও সুর নেই, লয়;
কেউ এতে ডোবেনি গভীরে
দুহাতের করতল পুড়েছে
তালহীন নেশার নিতান্ত উদ্দামে।
কেউ এতে ভেজেনি আ-শির,
গানেপ্রাণেসুরেমনে আমূল
বিদ্ধ করেনি কাউকে অতলে।
শুধু দুচোখে পুড়েছে দৃষ্টি
মাত্রাহীন নিমিত্তের উল্লাসে।
রাঙিয়ে দিয়েছি সব উজ্জ্বল ফাগে
নিজেও ভিজেছি খুব তরল ফেনায়-
কেউই আন্তরিক দুঃখিত নয়
কাঁদে একা ছিঁড়ে যাওয়া সরোদের তার।
অকস্মাৎ অন্তরায় থেমে গেছে ধারা আভোগে আসেনি জোয়ার।
কেন আমাতে গান দিলে না
উদারামুদারাতারায় অচিন উড়াল-
গগআ
ReplyDelete