রেখে যাব কবিতার তিন নম্বর খাতা খানা পাণ্ডুলিপি কাটাকুটি জানতে চায় যদি কেউবা দ্বিধাহীন বলে দিও লোক বড়ো সিধে ছিল না দ্বিতীয় তৃতীয় চার প্রথম পঞ্চম খাতা যা যার যার কাছে আছে প'ড়ে দেখে নিতে ব'লো তা হয়তো সেখানে মিলবে স্বল্প খানিক সরলতা সত্যি কথা দিও বলে লোক বড়ো সাদা ছিল না কেউ কেউ এরকম এক জীবনের ন'খানা পাতা দশ খাতে রেখে সুখ টান দেয় চুরুটে নড়াচড়াহীন শিলা শাখাপ্রশাখাহীন খাড়া ওরকম মোটেও না ব্যাপ্ত আকাঁড়া ও ঝাঁকড়া এক ডাল জলে ছোঁয়া আর দুএকটা শিকড় যে কোথায় লুকানো সেটা তুমিও কখনো দেখনি বলে দিও এতটুকু গোপন না করে ছলনা চেহারা যেমন হোক সে বড়ো সহজ ছিলনা
Posts
- Get link
- Other Apps
পথের সূচনা ও অন্তিমের মাঝে উন্মুখ হয়ে আছে মাধবীরলতা সূর্যমুখীর দেখা পেয়ে যেতে পারো ফুটেছে কিছুটা আর স্বপ্নের ভারে কুঁড়িরা দুলছে ঈষৎ লাজুক যেন ভুল করে যদি ভুল করে থাকো কান পেতে শোনো বনানীর গান হৃদয় বিলানো কামিনীর থোকা তুলে নিতে পারো চোখের খোঁপায় নাগরিক শ্বাস দোলাচল ভয় জোর করে কিছু ঠিক কোরো নাকো ফুলেরাই বলে দেবে নিরাময় সময়ের কাছে হাত পেতে দেখ স্রোতের আজান আলুথালুময় দীর্ঘশ্বাসের চুলে ঠোঁট রেখে মলিন পায়ের কাদা মুছে দিয়ে বলে সবটুকু নয় অপচয়
- Get link
- Other Apps
এইসব দেখে অন্তরে উল্লাস হয় খুব শিকল পরিয়ে বাঁধি নিজ হাত নিজে চাবি গিলে ফেলে উল্লাসে মাতি খুনে গোপনে প্রোফাইল ঘেঁটে দেখে আসি খুব রাতে জেগে আছো কিনা আত্মহত্যার ভষ্ম মাখি ফর্সা হওয়ার লোভে এই সব পুণ্য লেখা হবে সার্ভিস বুকে ভবিষ্যনিধির খাতা কাটাকুটিহীন সতী পাকা করে যাচ্ছি দেওয়ালের ভিত হৃদয় বন্দকী রেখে শোধ করা সব দেনা অযথা মরে গেলে ভুল করে কক্ষনো কোনো আঙুলও নাচবে না ক্রমশ পাথর করে নিচ্ছি অতল সজলতা শুধু বিলাসীকে মানায় বলে খুনিরও কী গোপন অশ্রু থাকবে না ?
- Get link
- Other Apps
কবি তো মোমের পুতুল খবরদার কেউ ছোঁবে না সাধ করে লিখতে এসে সে কেনো ঘেরাও হবে কবির ইচ্ছা যার খুশি তার মঞ্চে যাবে, কাওয়ালি গাবে কবির ইচ্ছা কোন মিছিলে যাবে কিম্বা নাইবা যাবে স্বর্গে কী ব্রথেলে শোবে তোমারও ইচ্ছা হলে কবিতা প্রোডাক্ট হলে উল্টো করে লাইক মারো কাব্য নালা ও নাব্য হলে কবিতায় কী আর ধোবে বড়জোর মুততে পারো কবিতা প্রোডাক্ট যখন কবিতা ছিঁড়তে পারো কবিতো মুনিষ মাত্র ওকে ছিঁড়লে কাঁচকলা কবিতো ফানুস মাত্র ওকে ছুঁলে ঝুটঝামেলা উহাকে শুঁকিয়া দেখো গন্ধেই জানান দেবে স্যাঁতা নাকি টাটকা শলা হতেই যদি হয় খুনি রক্তে যদি জোয়ার ডাকে তখন তুমি নিজেই লেখো একটা সজীব সঞ্জীবনী
- Get link
- Other Apps
কে আমার কবিতা পড়ে পেঁদাবো এক থাপ্পড়ে আমি কী তেমন কবি যে ইচ্ছা সে লাথাবি পক্ষে তোর না দাঁড়ালে গালাবি চার অক্ষরে যে আমার কবিতা পড়ে তাকে আমি চেঁচিয়ে পড়ি যে আমায় আদর করে আমি তাকে সুরতহালে ছিঁড়ে দেখি অতল তলে পেঁদাবো এক থাপ্পড়ে নিজিকে চিরে তা'পরে লবণে চেটে দেখি কীভাবে অশ্রু পড়ে আমি কী তেমন কবি যে ইচ্ছা সে চুমোবি বিষ রাখি তারি ঠোঁটে যে আমার প্রেমে মরে আমি কী তেমন কবি যে ইচ্ছা সে কামড়াবি পড়ি তার চরণতলে যে চরম ঘেন্না করে পেঁদাবো এক থাপ্পড়ে যে আমায় পেন্নাম করে
- Get link
- Other Apps
প্রকৃত কাছে গেলে তন্ময় বীর কাছে গেলে প্রকৃত সারস উড়ে যায় প্রতিশ্রুতি গলে পড়ে মহাবাহু জলে জলবন্দি দ্বীপলেখা সাশ্রু শ্লোকের কোনও মানে বই, টীকাভাষ্য নেই দেওয়ালে দেওয়ালে অতীত অভিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় পাঠে নিমগ্ন পাহাড় ময়ূরের অপেক্ষাগান বর্ষার রিংটোন কোনদিকে যাব ডাঙরিয়া ? সদ্য হাঁটতে শেখা বামন বড়াইলের সুরঙ্গ কাটে রবীন্দ্রসংগীত গায় মেখলামেয়ে বহমান অশ্রু চিরে ইতিহাস জেগে থাকে আলোকিত দীর্ঘতম সেতুটির মতো আমাদের ঈশ্বর ও আল্লা এক এবং একটিই সন্দেহচিরে দ্বিধাভক্ত সুরমা কুশিয়ারা প্রকৃত কাছে গেলে সারস ওড়ে না করতলে স্বর্ণালি স্মৃতির তর্পণ বালিয়াড়ি ডুবে যায় স্রোতে সেইসব স্বর্ণালি রুপোলি মীনেরা ভেসে উঠে অনায়াস ধরা দেয় ডোবেনা কখনো
- Get link
- Other Apps
বরং কথাবার্তা চলুক উস্কানিমূলক তন্ময় বীর কে মরে গেল আর কে থাকলো বেঁচে এসব নিয়ে কতক্ষণই-বা বিদ্যাচর্চা চলে ক্ষুরের ফলা থেকে লাফিয়ে নিস্তার কে না চায়? চাইলেই কী যায় নাকি বাঁচা দ্বারে দ্বারে লাঠিয়াল তাগাতাবিজদেবদেবী আল্লাখ্রিস্টঈশামুশালাফিংবুদ্ধাজননেতা সটান দাঁড়িয়ে আছে জনগণতান্ত্রিক দেশে। ভর্তুকিযোজনাবিমা এড়িয়ে সুপরিকল্পিত মরে যেতে নিরাসক্তি নির্মোহ লাগে অপরিমেয় নিছক নুনের বিজ্ঞাপনের লাস্য ছেড়ে বাথরুমে যেতে রাজি নই আমি ওসব অপ্রেম বঞ্চনা অবিশ্বাস ভাববার সময় যে কোথা থেকে যে আসে মানুষের! খুব বেশি হলে মলাট থেকে মুছে দেব শিরোনাম, রচয়িতা সম্পাদকের নাম নিরুচ্চার মলাটের ভেতর যেভাবে বাঁচে অ্যান্টি অ্যান্টি অ্যান্টি এবং অ্যান্টি জীবনের বিরুদ্ধে জীবনের প্রস্তাব কে মরে গেল আর কে থাকলো বেঁচে এসব নিয়ে কতক্ষণই-বা বিদ্যাচর্চা চলে বরং কথাবার্তা চলুক উস্কানিমূলক (সুবিমল মিশ্রের কিছু প্রসঙ্গ পরোক্ষে এসেছে এই কবিতায়)
- Get link
- Other Apps
সংযম তন্ময় বীর আমি কী ছোঁব না তাকে -- উজ্জ্বল নীলাভের নীচে জলময় শ্বাপদ জঙ্গলে চরাচর ভেসে যায় যদি সুবর্ণা মদিরার গ্লাস দূরাগত পরিযায়ীর দোহাই দূরত্ব লাঘবী দূরবীন যদি কিছু দেখে ফেলি লোভের ছোঁয়াচ লাগে ঝলকানো বিমুক্ত ডানায় মাছরাঙা তুমিও সাক্ষী জললীন মসৃণ ডলফিন বেঁধে রাখা ডুবে থাকা একাকী সদল সাম্পান ঈষৎ কলঙ্ক যদি মাখি চিবুক রক্তিম হবে কবি, সংসারী, পানকৌড়ি বনরক্ষক বল্লমধারী পায়ে ফোস্কা ফেলে কিনারে এসে ফিরে যাবো-- যাওয়া কী ন্যায়ত হবে আমিষ অরণ্য থালায় নিরামিষ রেখে যাওয়া সভ্যতার দোহাই মেনে অতল জলজ নাবিক ডানার নাচন চেনা পক্ষিবিদ্ সমুদ্রসোহাগী ক্ষুরধা নদী দুঃসাহসী হংসমিথুন শঙ্খলাগা সাপ ও সর্পিণী ঝুঁকে থাকা জলস্পর্শী শাখা সজীব প্রচ্ছায়া তার সুবিস্তৃত লালসার চর বুনো ঘাসের ঘন আড়াল ঝাউ বনের শীৎকার বলো-- আমি কী ছোঁব না তাকে ঘুমাব না পাশে তার দুটো লতা দুটো সোঁতা শুয়ে আছে অসীম বিস্তার
- Get link
- Other Apps
বাংলাদেশের হৃদয় হতে তন্ময় বীর বুলেট এসে লেগেছে এই হাতে বুকে মুখে চোখে এর পর আর কে লিখতে পারে, অন্তত শান্তিতে রক্তপায়ী ওই কোন দেশপ্রেমী ধর্মপ্রাণ ঈশ্বরের সেনাপতি উল্লাসে ফেটে পড়ে শস্ত্রের, আঁধারের, মৃত্যুর কারবারি এর পর কে ভাবতে পারে ছন্দের সুরের বাঁধন ধারালো ধাতব সটান এসে বসেছে গভীরে এখনও শুকায়নি সে বজ্র বিদ্যুৎ কান্নার দাগ সেই চোখে এর পর কে দেখে ভোরের স্বপন যদি কেউ এর পর মানুষকে অবিশ্বাস করে যদি কেউ এর পর মনুষ্যত্বে বিশ্বাস হারায় কাটা শির কাকে আর কবিতা শোনাবো যন্ত্রণায় নীল নিথর নির্বাক চুল থেকে নখ কি লিখব, কি বলব চুপ করে থাকা তাও কি পোষায় সাদা কালো গোয়েরনিকা শাহাবুদ্দিন, ওরকম সুতীব্র যদি মৃত্যুর দিকে ছোটে অন্ধ অস্পষ্ট সমগ্র আগামীর শরীর বল্গাহীন কথা যদি না শোনে লালনের বিশ্বস্ত একতারা গাড়ি যদি সত্যি সত্যি না চলে করিম বড়ো অন্ধকার বিষম ভাবনা বুঝে ওঠা দায় পদ্মা মেঘনা তিস্তায় ডুবন্ত নাও ঝিলমিল কোন দূরবিনে পথ দেখে মাঝি নিশ্চিত বাঁচায় মরীচিকা অন্ধকার মুর্শিদ, ক্রমশ বাড়ে আঁচড়ায় জীবনের প্রেমহীন প্রান্তরে, সিং দরজায় মৃত্যু এসে চেপেছ দুই কাঁধ
- Get link
- Other Apps
বৃষ্টি পড়ে এমন ভরা বর্ষাকালে কেউ কাছে না থাকলে পরে সৃষ্টিছাড়া বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে স্মৃতি জুড়ে তেমন করে ভেজার মতো ডাকছে না কেউ গভীর কালো মেঘের ভারে দিনের চালে রাতের চালে একনাগাড়ে উথাল পাথাল মনকেমন বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে শহর ভরে পুকুর পাড়ে গ্রামঞ্চলে বার্তা ভেজে চিকুর ভেজে আলগা বাঁধন সুসংযমে পঙক্তি চরণ তেপান্তরে তটাঞ্চলে আঁধার করে অর্থহীন কিম্বা গভীর অর্থপূর্ণ এলোমেলো ভীষণ ভারি ভীষণ জেদি বৃষ্টি পড়ে বৃষ্টি পড়ে
- Get link
- Other Apps
নিতান্ত পোশাক মাত্র নয় তারও ভেতরে এত গোপনীয় তোমাদের দেখে শেখা দুয়ারে আগল, তালাচাবি সভ্যতার অবিশ্বাসী আমদানি আমাদের বাঁশি চুরি করে তোমাদের ঠাকুর প্রেমিকা কাঁদায় বিরহ ছিল না আমাদের, মরদ মরদ ছিল মেয়েদের পাশে তাকে পুরুষ মনে হতনা কখনও মহেঞ্জোদাড়ো লোথালের নীচে কি ভালো যে আছে শবের শরীর অনার্য আরক মাখা এই যোনি জন্ম উপত্যকা এই স্তনাগ্রে অমৃতসুধা পিতৃশিশ্নে জন্মবীজ তোমরাই জ্ঞানাঞ্জনচক্ষুশলাকা তোমারি কল্যাণে আজ চোখ ফোটে কম্পিত সভয় আমার সন্তানের অপত্য দেখে জনক জননীর লজ্জাহীন পৌরাণিক মহিমা শরীর যে ভীষণ লজ্জা শরীর যে ভীষণ নাজুক শরীরের শাঠ্য শোষণ রাজনীতি তোমারা শেখালে যে পোশাক তোমাদের দান আমাদের তুলো দিয়ে বোনা সভ্যতার নির্লজ্জ সেনা নিজেরাই ছিঁড়ে নিচ্ছ দিবালোকে সন্তান সাক্ষী রেখে জনারণ্যে হুহুঙ্কার তেজে প্রায় বিস্মৃত কেশরীবিক্রম মাতঙ্গিনী মাতৃমাতন পিতার বাহুতে বুকে শিরায় থাবায় নখে শান তীব্র চোখ গর্জনের নাদ মায়ের স্তনবৃন্ত নিতম্বের কঠিনে প্রতিহত সুসভ্য কামুক আঁধার ঘন তিমির কেটে অরণ্য অতল থেকে বল্লম ও
- Get link
- Other Apps
মহারানি মহারাজা আমি অনুগত খোজা এসব লিখব বলে লিখিনি কিন্তু অচেতনে সত্য ও সোজা এড়িয়ে গেছি সর্বদা কোথাও বীর্যের গন্ধ খুঁজে পবেনাকো তুমি সামান্যতম উত্থিত পতাকা এসব লিখব বলে লিখিনি কিন্তু কাগজের বাঘ, নৌকা সাগরের দারুণ জলে ভাসিয়ে কুড়িয়েছি হাজারও বাহবা মহারানি মহারাজা যাসব লিখব বলে লিখিনি কিন্তু মরে যায়নি খামকা ঘুমিয়ে রয়েছে অজগর চুপে যাসব লিখেছি সব তোমার লেখনী দিয়ে আমার ব্রহ্মাস্ত্র রয়েছে সিন্ধুকে
- Get link
- Other Apps
কবি তাপস আছি রাতদিন ঘরে বসে জং ধরেছে ঠ্যাং মজ্জায় ফোনে ধরি - হে, তাপস রায় ... ডাক আসে এক কাব্যের আড্ডায় লেখা জমে গেছে ঘন টন্ টন্ লাগে চাপা মনটায় ফোনে ধরি - হে, তাপস রায় ... ঠিক ছাপা হয় এক পত্রিকায় পিঠে বাঁধা তাঁর চলমান এক ডাকবাক্স মাথায় অবিরাম অলোকরঞ্জন আলোক রায় শনি রবি কফি মগে হৈ হৈ আড্ডায় যাকে ঘিরে বসে যায় কবিতার মক্শো খুঁজে পেতে সুইনহোতে কবিকে ছাপায় চুল হিজিবিজ চাপকান দাড়ি ভোরে উঠে ব্যস্ত যোগায় তাঁর নাম তাপস হে, তাপস রায়
- Get link
- Other Apps
এবার কী হাসব তবে আমরা তো চেয়েছিলাম আমিতো কেঁদেছিলাম অন্ধকারে বিষণ্ণ ব্যথায় সমূহের কাছে প্রতিহত বা এককের দাপটে, সমস্ত শরীর কাঁপিয়ে আকাশ ফাটিয়ে - যাক ধ্বংস হয়ে প্রলয় আসুক আন্তরিক প্রার্থনায় এই তো এসেছে সে এভাবেই আসে জমিয়ে তোলার চাপ ভয়াল জাগানিয়া এবার কী হাসব তবে - হাঃ হাঃ না-কি পাততে হবে কান মৃদু সুরে বাজছে দূরে নির্মল নতুন কলস্বন
- Get link
- Other Apps
সত্যাসত্য নেমে আসতেই হয় জমিনে উদ্ধত অভ্রংলিহ কাঁপে, পায়ের নীচে মাটিই সার - সত্য এরকমই সহজ কাকে অভিশাপ দেব কাঁধে গলায় মাথায় চেপে আছে উদ্যত চাপাতি ভেসে যাচ্ছি রক্তগঙ্গায় চুরচুর, অষ্টবক্র; মেদমাংস শিয়াল গৃধিনী কুত্তার উল্লাসের সম্পত্তি যাদের মানুষ, নিদেন পুরুষও ভাবিনি, তারই কান মুলছে সভ্যতার - সহজ এরকমই সত্য সত্য এরকমই ব্যঞ্জনামূলক তুচ্ছতাচ্ছিল্য সরল পাদপ ঝাপটের ধুলো মেখে পতনের টালমাটালে দাঁড়াতেই হয় নীচে তার একা শুয়ে হাসে সত্য মর্গের টেবিলে লোহিত সে এমনই সহজ এরকম যাদুকর বেয়াড়া হাস্যকর করে আঁকে সভ্যতার শকুন চেহারা
- Get link
- Other Apps
পাঁজরে পা-রাখার শব্দের আশায় যা-ই লিখছি তাই হয়ে যাচ্ছে জল যে রাস্তায় যাই আকাল নিষ্ফল ওষ্ঠে রাখা ঠোঁট এ হৃদয়বিলাস চির স্বপ্নদোষ আত্ম-উল্লাস পদচিহ্ন সব ভোটচিহ্ন সব মনুষ্যত্বের কাছে এসে নীরব শস্ত্রগান চুপে মন্ত্রগান খুব মদ্যগানে চুর অর্থজ্ঞান খুব যা-ই ভাঁজছি তান, যা-ই গাইছি গান যে সুরই লাগাই, অর্থকরী টান কোথায় ডোবাচ্ছে কী রঙে রাঙাচ্ছে তাকে নিগূঢ় জল গোপন আহ্বান যা সব লিখেছে তা, ভেবেছি যেরকম নিমজ্জ ডুবন্ত পরাজিত আহত সিঁড়ির মতন সে পৃষ্ঠ পেতে আছে গোপনে সুসজ্জিত চোখ মুদে সজাগ আগামী আলোকের তিমির ঘাতকের পাঁজরে পা-রাখার শব্দের আশায়।
- Get link
- Other Apps
জেগে ওঠো বসন্তে জেগে ওঠো অবিরাম ফুলের জোয়ার অন্তর্গত সুরেলা ঝরনা _ শীতার্ত হলুদ পাতার মর্মরিত গানে, কান্নায় নাচো খুব বর্ণিল গুলাল পেলব প্রত্যঙ্গগুলি অথবা শীর্ণ হাড়ের শীর্ষ পাঁজর বা হৃদয়ের খাঁজ কুসুমিত পালশে শিমুলে জেগে ওঠো স্বপ্নের রঙ জেগে ওঠো আমাদের প্রেম প্রতিরোধ বিপ্লবের ফেনা বসন্ত নির্ঘোষের কাল উঁকি দেয় লুকায়িত ডানা জেগে ওঠো শয়তান তুমিও স্মরণে আনো উত্থানের সরক্ত বেদনা রক্তিম প্রিয় শ্রেয় প্রতিবাদ উচ্ছ্বাস স্বপ্ন উড়ালের তলে স্বয়ম্ভু জাতকের কীট-কণা শুয়ে থাকো, জেগে ওঠো তোমারও বসন্ত দিন বেদম উল্লাসের রাত পুড়িয়ে মারো নৃত্য কর, চিয়ার্স আমকে ভুলতে দিও না বিপ্লবের সরক্ত বেদনা।
- Get link
- Other Apps
শীতযাপন শীতকাল এসে গেল ত্বকের যত্নাত্তির কাল অন্দরবাসী দুই সুপর্ণা একটি বসন্তবর্ষাশরৎউষ্ণতা চায় অন্যটি কেবলই হিমের পরশ সেই সব বালাই, যার কোনো প্রতিষেধক মিলল না সেই সব অধোগমন শতাব্দী পেরিয়ে এসে মহামানবের বাণী যার কাছে লজ্জা পায় সেই সব কাদা সহস্র সূর্যাভায় এখনো পিচ্ছিল হয়ে আছে আয়ুর স্থিরতা আজও এই সুসভ্যতায় পদ্মপত্রনীর কে কখন ঠুকরে দেয় আকছার ভেঙে যায় নীড় পরিশুদ্ধ জলস্পর্শহীন নিয়ত নিহিত স্নান এক পাখি জাড্যের বিপরীতে সুপক্ব স্বাদু পিপ্পল চায় না শীত চায়, শুধু ঘুম * * * হেমন্তকে শীতের সূচনা ভাবা ভ্রম, তারো আছে নিজস্ব নিশ্বাস। না-শীত ও উষ্ণ রমণীয় নির্বেদ। পরিণত মৌন নিজের নাড়ি ধরে মৃত্যুকে বোঝা সাংঘাতিক পৌঢ়বিজ্ঞ কোনও টান নেই, অশ্রু নেই একে কেউ চায় না বরং শীতের পরিধি ভেবে শুকোতে দেয় বিছানা চাদর। * * * উদ্যত ও নিবৃতের মাঝে ঐ যে সুফল, নির্বিকার পরিণতিপ্রজ্ঞানী, ঐ তো হেমন্ত দ্রুত মরে যেতে হবে, জানে। তার মরে যাওয়া, বিজ্ঞের ভানে দেখেও দেখবে না কেউ নিশ্চলও সমান অংশীদার সধুতার