Posts

অন্ধই ভরসা গভীর সন্দিগ্ধবাদী চতুরস্য শাঠ্যে উত্তম অথবা, বিকল্প খুঁজি প্রয়োজনে চতুর্থ, পঞ্চম বরং ভালো যে কোনো সাতে নেই পাঁচ পা-ও নেই যার পদক্ষেপে অসাড় পদচ্যুতি নেই সুতরাং রং নেই বলে রংরুট-ও নেই নিশ্চিত ভারহীন বলহীন সুস্থির অভিমুখহীন অরেখ মত নেই মতান্তরও নেই বিপক্ষের সাথে অযথা অবিকল্প কুলদেবতা এই হোক শোয়া বসা  হাসা কাঁদা সকলই সমান যাঁর লক্ষ্যপক্ষহীন, ভ্রমহীন উড়ান না-জানা খঞ্জের নিরুপ্রদ্রব যষ্ঠি অন্ধই ভরসা   
এভাবেই! তারও তো স্থান কাল আছে সম্ভাবনার শতাংশ কিছু পাথর ফাটানো শিকড় সাধনাসফল জল পাবে কিনা বধির উপমহাদেশে জন্মনো নিরম্বু মেয়েটি উত্তর পাবে কিনা জ্বলন্ত ম'রে গেল যারা ফালা ফালা হল যার যোনি   এখনও যে স্বপ্ন জেগে আছে সন্ত্রস্ত নগরের চারি ভিতে হরি ৎ শস্যের মাঠে মাঠে লোহিত জিজ্ঞাসাচিহ্ন তামসী নিশানা রঙিন ধর্মান্ধ কুক্কুট, মদমত্ত; পবিত্রতার সুগন্ধ মাখা শপথের বাক্যাবলি মেধাবী প্রবঞ্চনা উদ্ধত ক্ষমতার দাপ সবই কী এক পথে ধুলো আর কাদা সফেদ কুয়াশা নীল সগুপ্ত গূঢ় প্রকরণে সোনা হয়ে যাবে মিলে চলে যাবে এক বৈকুন্ঠের দিকে নিশ্চিত দ্বিধাহীন!
দিবাস্বপ্ন ভুল যাত্রাও সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেয় ... আনন্দবারতা কী খোশবাই তার! অশ্রু মিশে আছে শিরায় শিরায় ললাট লিখন না-প'ড়া যানের আরোহী হাসে লক্ষ্যে চলে যাবে ঠিক... রক্তমাখা ধার্মিক নিশ্চিন্তে ঘুমায়, অকাতরে ভাষা ভোলে মাতৃভষার প্রেমিক, কৃতঘ্ন অবিচারে অম্লান কৃতজ্ঞতা কুড়ায় প্রতিশ্রুতি দৃঢ়মুষ্ঠি ভাষণ, রঙিনের ফোয়ারা সব ভুল একদিন মেলে দেবে ডানা ফুল হবে, প্রজাপতি কে করিবে মানা দিবা স্বপ্নে কম্পোজারও ভুলে মারে শেষ শব্দদুটি.. ' কখনো কখনো '  
বিবেচনা   সংশোধন ক'রে দেবো বাক্যের গঠন বড়ো নির্মম হ'য়ে গেল- ভাবি, বলা যেত মৃদুতর আরও কঠোর পাথর নির্দয়তা না-দিলেই হ'তো শব্দে ঐ শান্‌ না দিলেই বরং অহল্যা অঙ্কুরকাতর আদিমের রঙে শোভনীয় হ'ত অভিমান ভাবি তুলে নেবো কিছু ভার, কিছু দমনীয় অনির্বাচিত, নিয়ন্ত্রণহীন কিছু স্ফুলিঙ্গ ক্ষণস্থায়ী শস্যখেতের কাছে অপরাধী থেকে যায় বাঁধভোলা বানভাসী সোঁতা মাসুলের কাছে কেন অবিবেচক অধমর্ণ হবো    
এসো ভুল     অমার্জনীয় ভুলগুলি বৃথাই মার্জনীয়। চক্‌চকে শাণিত করার চেয়ে মার্জনীয় ভুলে ভরি ভবিষ্য বাগান   এসো খুলে রাখি কবচ এসো তুলে রাখি ঢাল শিরস্ত্রাণ প্রতিরোধ   ন্যুব্জের ক্লেশক্বাথ কান্না করুণায় ঝকমকিয়ে উঠুক হিংস্র তরবারির ধারে নিঠুর চিৎকারের আগায়   এসো ভুল মারো এসো ভুল কাটো বিদ্ধ করো ক্রুশে   মার্জনার হৃদয় থেকে গড়িয়ে নামুক শুদ্ধতা ভঁরে যাক মানস সরোবর   শিশির অশ্রু মেখে জেগে উঠুক ভোরের পলাশ  
হোয়াট ইজ আর্ট? তন্ময় বীর উৎসর্গপত্র-র দিকে আঙুল দেখিয়ে সুবীরদা বললো, এটা আবার লিখতে হয় নাকি!– লেখা ছিল “সুরমাকে ভালোবেসে–” যখন লেখা হচ্ছিল, প্রুফ দেখা চলছিল, বারবার টাইপ করা ছেলেটিকে বোঝাতে হচ্ছিল, এই লেখাটা যাবে সমস্তটা সাদা রেখে একেবারে নিচের থেকে চার লাইন উপরে ডান দিকে, তখন একবারও মনে হয়নি ভাষাটায় সূক্ষ্মতা হারাচ্ছে। লঘু হয়ে যাচ্ছে ‘ভালোবাসার’ ভার। এই প্রথম খচ্‌ করে উঠলো, তাও উদ্বোধনের দিনই। কানে করাতের অস্বস্তি জাগালো কথাগুলো, --“বউকে দিচ্ছ, আবার লিখেও দিচ্ছ ভালোবেসে দিচ্ছ! মাঠে মারলে তো উৎসর্গের আর্ট-টা!” কানের কাছে মাথা এনে অন্তরঙ্গতার ভাব এনেও সকলকে শুনিয়ে বলল, --“বউকে চুমু দিয়ে বলো নাকি এটা কিন্তু ভালোবেসে দিলাম!” “আমরা ঠিক বুঝতে পারি কোনটা চব্বিশ ক্যারেট, সার্টিফিকেট লাগে না।” -- সুচন্দ্রা পাশ থেকে কটাক্ষ হেনে দুল নাচিয়ে সুযোগের সদ্বব্যবহার করল। মানিক’দা বলল, --“ও! এবার বুঝেছি কেন তোমরা ঠোটরঞ্জনী লাগাও।” ঠোটরঞ্জনী কথাটায় হাহাহিহি শুরু হলো। তারপর কথার গাড়ি ছুটল নানান দিকে। কিন্তু মনের মধ্যেটা খিচ্‌ড়ে রইল। কিছুতেই বইপ্রকাশ উপলক্ষ্যে আজকের সব বিল নিজের গ্যাঁট থেকে বা
রবীন্দ্রনাথ   তন্ময় বীর   বিশ্বাস-এর কথা ভাবা যায়! আস্থার থাবা গিলে খায় আজগর গ্রাসে শিকড় বাকড় পাপ কাকে বলে ধর্মের কলে দ্বিমুখী করাত সীমার অসীম   অথবা ওই অসীমের সীমা বিশ্বপ্রেম রক্তের নদী কবে মুছে যাবে তাহরির গাজা ভূমধ্য তীর শাহবাগ বামিয়ান কাশ্মীর মধুপবনের সুলগন কবে   তুমি একাঘ্নী   অসহায় বাণ একদিকে ছুঁড়ে দিলে অন্য প্রান্তে লালিহান ওঠে   শঙ্কা শূন্য চিত্তগান সবল ক্ষমার মহিমা সুনির্বাচিত ভাষণের জামা সুধী সকলের গা’য়ে   তুমিময় সব শুধুই তোমারই যেন জিত সশস্ত্র উদ্যত হাতে নিরুপায় ছবি আরক্ত জিভ সহর্ষ গায় রবিসঙ্গীত গৃধ্নু জীবের আনন্দগান রবিসঙ্গীত   চক্রান্তে ফাঁসে বিজয়ীর চাকা সব দায় ঋণ নিরীহের ঘাড়ে অজস্র শাপ প্রতিদিন নির্মম মারে বুকপিঠকাঁধে তীব্র চাবুক দাগ   স্বপ্নসত্য ব্যথাযন্ত্রণাপিপাসায় তোমাকে অবিশ্বাস করা পাপ