ন্যাচারাল, অতি স্বাভাবিক সাইরেন চিল্লাচ্ছে খুব আলোর ঝিলিকে ধাঁধা অ্যাম্বুলেন্সের মাথা । উৎসব শেষ হ’ল কী যেন নির্ণয় হ’ল তরী ভিড়ে গেল শস্ত্রের আগায়। অক্সিজেন ঢুকে আছে নলে জলের লবণ যায় সূচ বেধা ধমনী শিরায়। এই তো বিনিময়ে পাওয়া এই তো দাওয়াই, প্রতিদানে — বড়ো উৎসব চারিদিকে ধূমধাম খুব রঙিন আবির ঝড় মুখ চেনা ভার। জরুরি বিভাগে ভিড় সকলে আসে না, কেউ কেউ এসে উঠতে পারে... প্রতিবাদী, নিমকহারাম, বিরোধী এসবই প্রাপ্য ওদের শালা— কত ধানে কত চাল, খাও! কোন কাছারিতে যাবে, যাও সব শুনশান, শিশিরের শব্দের মতন রক্তপাত, আশ্রুপাত হয়। নীরবতা খান খান করে সেবা গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স বলে — তফাৎ যাও, তফাৎ যাও * মিথ্যে নয় মিথ্যে নয় ঝুটা হ্যায় এই রাত এই হতাহত নিশুতি, নিরস্ত্রের হাহাধ্বনি যারা খুব ভয়ে ছিল টিকটিকিতেও চমকাতো তারা আজ নির্ভয়! কী আলো এসেছে আহা জন্মান্ধের চোখে! * কে দেখে নিশ্চিত করে? বাইরে দেখা চোখের আলোয়— শরীরের এত ‘আপন আলো’ হ্যালো, জ্যোতি এত সকলের রোদচশমা বিকোচ্ছে ভালো বিদেশি ছাপের। * ছাপ! ও...