প্রজন্ম
তিনি মারা গেলেন শহরে—
কিন্তু তার শৈশবের নদীতীর
আর হাতে পোঁতা শিরিশ গাছ,
পুকুর পাড়ের ঋজু বাঁশ ঝাড়
পড়শি ক্ষেতের সোনালি পাট
একসঙ্গে ডাক দিলো আকুল।
পৈতে তারা ভোর ছল্ছল্ চোখে
হাত জোড় করে এসে দাঁড়াল
উজ্জ্বল সেবাসদনের উঁচু দ্বারে।
ডিঙি নৌকো এসে লাগলো তীরে
জোয়ার কিনারা ছুঁয়ে রাখল জলে
যেন তার পায়ে না লাগে কাদা !
নদীচরের ঘাসে আসন সাজিয়ে
হুতাশন-সাথী বাতাসও প্রস্তুত ।
পুড়ে যাবেন সশব্দে তীব্র শিখায়;
ধুয়ে যাবেন ছলছল শান্ত ধারায়।
নির্মোহ দূরদেশী নৌকার পাল আর
সন্ধ্যানামা প্রিয়পথে আলোছায়ায়
ওপারের অন্তহীন পথের মায়ায়।
বাবাকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য
তার পদচিহ্ন গ্রাম সকাতর উন্মুখ।
আমদের ফিরিয়ে নেওয়ার আলপথ
কাঁটায় লতায় শামুকে ভাঙাচোরা।
কেউ, কিছু আপেক্ষা করে নেই
কালিন্দী ইছামতী সুবর্ণের তীরে।
Comments
Post a Comment