Posts

Showing posts from July, 2019
দু'চুমুক চা খাওয়া যায় চোখ রেখে চোখে এরকম দুই একটা নির্জন কোনোখানে নেই জানতে চাইবে খিলঞ্জীয়া নাকি এলিয়েন বলতে হবে কোড নম্বর, জন্মদাগ, ভিটে বুক চিরে আরাধ্যের ছবি, আঙুলের ছাপ পাকস্থলী ঘেঁটে খাদ্যাখাদ্য, তসবি তিলক সভ্যতার মিনার সমূহে মুষ্টিমেয় লোক যদি বোকা হও কিম্বা হাঁদা, সহনশীল সোজা লুট করতে জানো না, বিশ্বাসী, তবে ভেসে যাও জামার ভেতরে সন্তানের লাশ নিয়ে জলে বসে থাকো কয়েদখানায়, উদ্বাস্তু কলোনি গিলে খাবে জীবন যৌবন, উপুড় আলান চুম্বন রাখার সুবিশ্বস্ত ঠোঁট নেই কোনো দাঁত আছে সাজানো করাত, চোখের সান্ত্রীরা যেখানে যেভাবে যাও, খাও, সজাগ প্রহরা
ডাকছে কাছে আকুল হয়ে প্রার্থনায় ইচ্ছে হয় চেঁচিয়ে বলি সত্যি নয় সত্যি নয় সবুজ আলো তবু নিষেধ দূরত্বের অভাবে আছে ট্রাফিক আলো ঘনত্বের ঘনত্বের আছড়ে ভাঙি কাচের গ্লাস সুদর্শন ডাকুক যত আমি তো চাই অদর্শন অদর্শন
আবার যেন বলে বসো না এটা কী? ইত্যাদি বিড়াল জাতীয় শব্দ উচ্চারণ শেষে বালিশ আঁকড়ে শুয়ে পড়লে মধ্যরাতের কিনারে স্বর্গেরা সব ঘিরে রইল অতন্দ্র উজ্জ্বল পাহারায় ভেজা সোঁদা গন্ধে মাতাল চকমিলানো চবুতরা চারিদিকে খরা, সজল শ্রাবণ পেরিয়ে গেল তবু বৃষ্টি হলো ইতিউতি, অন্যরকম একান্ত ব্যক্তিগত কারোরই মন ভিজল না, শিকড় ভিজল না আমূল আঙুলে লেগে রইল গতজন্মের কদমের রেণু আড়মোড়া ভেঙে এলিয়ে পড়লে সত্যি না আসুক স্বপ্নে আসবে, এরকম বিশ্বাসে মানুষ ঘুমিয়ে পড়ে পরদিন ফিঙেডাকা সকালে চোখ জাগবে কিনা সেসব ভৌতিক কথা ভাবার অবকাশ মেলে না খুব
দুটো গাছ ঝুঁকে আছে                             দিঘির উপরে পাতা ছুঁয়ে যায় জলে                             প্রতিবিম্ব নড়ে                             জল মাখে মায়া                             ঢেউ দোলা ছায়া মাছরাঙাটি উড়ে এসে                             ভেজা পায়ে বসে পানকৌড়ি মেলে শুখায়                            মখমলের ডানা ওই শাপে বেঁকে আছি                          তোমার কিনারে ভেজার সুগন্ধে ভিজি                          দিন রাত ভ'রে স্নানের আকাঙ্ক্ষা থাকে                          চোখের কোনায়  ডুব দিতে মানা তবু                         যত মন চায়
হঠাৎ দারুণ বৃষ্টি এল ঝেঁপে মেঘে মেঘে আকাশ গেল ভেঙে ভীষণ রকম ঝঞ্ঝা ঝড়ে গোটা বাস্তু বসত এলোমেলো একশা বিছ্না বালিশ পুকুর নালা নদী মরার মুখে জান্ পেয়ে বাদশা কিন্তু কোথাও কী নেই কী নেই যেন তেমন করে আসর জমছে কই সানাই ছাড়া বিয়ে বাড়ির মতো মনে নেশার মাতন আশাহত চমকে গিয়ে চেয়ে দেখি বা’রে! বজ্রগুলো নীরব ঝুলে আছে তোর অনিচ্ছুক বন্ধ ঘরের দ্বারে
উন্মুখ হয়ে আছি খুব খুব অতল জলের নিচে ডুব ডুব যখন কথারা ছিল লাখে লাখে বাক্যের ফুল ছিল শাখে শাখে ভাষাহীন ভাষা আজ চোখে চোখে সংকেত বাণী ওড়ে দিকে দিকে খুব খুব হয়ে আছি উন্মুখ চুপ চুপ যেতে চাই সম্মুখ উন্মুখ আছি হয়ে খুব যে সে বার্তা নিয়ে যাবে বয়ে কে?
হাতের তখন দোষ দিও না হাত করবে কী সে বেচারি সেপাই মাত্র আদেশ শোনা ঝি ভেবে দেখ একটু কোথাও লাই পেয়েছে কি শুনল যখন সোনারূপো সঙ্গে রাজ্যপাট কাফের গোলাম আকাশ পাতাল ভেবে ভেবেই কাঠ মাথার কাজ মাথা ব্যথা তার কী আর পাপ ধানাই পানাই ছেড়ে দিলো লোভের চিহ্নে ছাপ হাতের বলো দোষ কী আর হাত করবে কী মাথার কাজ চিন্তা করা কোথায় মাথা ছি আমরাও বেশ চক্ষু বুজে দুহাত ধুয়েছি আমাদেরও দোষ দিওনা আমরা করবো কী আমরা হলাম মাকড় পোকা তেনারা খান ঘি অন্ধ আশায় লোভে বেজায় বোতাম টিপেছি বোতামেরও দোষ দিও না বোতাম করবে কী ও বেচারা আছে বলেই গণতন্ত্রের  জামার নিচে লজ্জা ঢেকেছি
শান্তিমালা টানিয়ে গাছে গাছে দূরান্তের পথিক ডাকো কাছে অন্ধকারকে বৃথা নাড়া ঘাঁটা বরং ওর কবরে দাও কাঁটা শাপগুলোকে চিরিয়ে কুটি কুটি অন্ধ চোখে চুমুর কথা দুটি ভয়কে কেন খুঁচিয়ে তোলো আর পচলে ভালো হয় জৈব সার আগুনে জ্বেলে বসো ওদের কাছে পাপেও কিছু পুণ্য আলো আছে