Posts

একটি ভালো সাইট...

প্রথম চিঠি

  প্রথম চিঠি গোপন মোড়কে চিঠি ছুঁয়ে দেখ কেমন আগুন পড়ে  দেখ  কেমন ফাগুন কোথায়  লেগেছে তার  টান প্রতি বর্ণে নত সমর্পণ এক হাতে কলম যুদ্ধ অন্য হাত স্বর্গে মুগ্ধ সেতারে সেধেছে কোন্‌ তান                                                     দু'চোখে বহ্নি জ্বেলে পড়ো                                                     দু'চোখে বর্শা নিয়ে পড়ো                                                     দু'চোখে তুচ্ছ ভেবে পড়ো                                                     দু'চোখে পলকহীন পড়ো যে চোখে লিখেছি আমি সে চোখে চোখ রেখে পড়ো                                                     চিঠি শুধু!                                                     হৃদয়                                                     স্পন্দন                                                     ঝরোখা নয়? সূর্যমুখী অঙ্কুরিত আশা জাল বোনা আকাশকুসুম অন্ধকার- আলো- বিমুগ্ধ প্রত্যাশা                                                                           ছুঁয়ে দেখ কেমন আগুন                          
আমাদের শরীর শুধু বল্লরী বন্ধনহীন স্বোচ্ছাসিত উদ্ধত কামনার কার্মুক স্বাগতম ঝুলে আছে মাধবীমঞ্জরী কপোলস্পর্শী সুরঞ্জনী ওষ্ঠের চুমু প্রতিস্পর্ধী আবরণ ছেঁড়া ভুঁইচাপা নির্বানী কদমবাহার ঘন বাদলের কানে। ওই তো উদ্ধত গ্লাডিলাসের প'রে প্লাবণী পলাশ, কৃষ্ণ রাধার বিন্যাস রক্ত জবার গর্ভমুণ্ডে রম্য প্রজাপতি বর্ণগৌরবহীন ভ্রমরার গায়ে সানুরাগী  স্বর্ণালী আলো নির্বিন্ধ্যার  লোভনীয়  জলাবর্ত নাভি জ্ঞাতআস্বাদী বিলক্ষণ জানে চেনে ওই বিবৃতজঘন মহিমা অবশা নদী, সাগর সফেন  কেমন অমৃতনিস্যন্দী শুয়ে থাকে। চূড়ায় সন্নিবদ্ধ ঘনশ্যাম সুমেরু স্তনের উপমাউজ্জ্বল     আমদেরই শরীর শুধু বিপন্ন বিষাদ পণ্যঠেসা আঙুরের লতা অবৈভবী হীন অন্তঃসার সর্বদা সতর্ক প্রহরায় ঘেরা নীবীবন্ধ কাঁচুলি ইত্যাকার জ্বরে  

থোড় বড়ি খাড়া

থোড় বড়ি খাড়া সুবাস কোথা থেকে আসে কোথায় লুকানো আছে কী পথরেখা নেই বহ্নিমান মর্মর চাপা অজ্ঞাত অতীত ধ্বংসাবশেষে গন্ধরাজ ভুল স্মৃতিশোকাতুর জীবাশ্ম দেবত্ব অস্বীকার করা আরক্তিম মাতাল তরণি টলমল ডুবে যায় ভেসে ওঠে শ্যাওলামাখা নবজন্ম অহল্যা উদ্ভাস পাপশোকস্বপ্নসফলতা মৃতসঞ্জীবনী মহেঞ্জোদাড়ো লিপি নিরক্ষর  সভ্যতাকে হেলায় হাস্যাস্পদ করে অনির্বাণ বর্তমান বিবর্তলোভী আবর্তসংগীত
ঢেউপুরাণ ঢেউ ভাঙছে পায়ের কাছে থামছে কিছু বিভঙ্গেরই মাঝে কমল করের ঢেউ নাকি-ও কুরঙ্‌ চোখের কটাক্ষতে ওঠা কিছুই নেই অতীত ভবিষ্যৎ দাঁড়িয়ে আছি দাঁড়িয়ে আছি              বৃক্ষবৎ অনন্ত সেই পুকুর পাড়ে স্বপ্নলীনা মানসসরোবরে আকুলতা সামান্য ও জলে প্রতিবিম্বে ভেঙে যাচ্ছি তুমি করছো খান্‌ খান্‌ আমি দেখছি গোটা
যৌনতা হবে ক্রীড়াহীন অতীত ঈশ্বরীয় অভিপ্রায় মুদ্রিত রাখা আছে যাবতীয় প্রোথিত আছে গাঢ় নিশানায় অনির্মোঞ্ছনীয় রঙে ও রেখায়   নেমে যাওয়া সরস সজলে শিখর হতে সমুদ্রলাফ এই সব কারুময় অনুভব স্পর্শমণি চারু শিহরণ   সুখ হবে ব্রীড়াহীন উজ্জ্বল ঊষায় লাবণ্যমধুর অজর অনিঃশেষ অনম্ল পার্শ্বক্রিয়াহীন আমলকী হরিতকী...   অন্তর্গত আদিম স্রষ্টার অত্যন্ত অনভিপ্রেত এই নিরোধী অনচ্ছ নেহা জটিলতা গর্ভমৃত্যু অনায়ু যন্ত্রণা জন্ম জরায়ু   সব লেখা আছে, বিলম্বিত বাল্য পাঠক অপেক্ষা ছিল বাঞ্ছনীয় মুর্খতায় চিত্রিত উরগের উপহারে এ কোন স্বর্গ!   পতনপ্রিয় খনক মানব সাবলীল সহজ হরফ স্খলিত ঈশ্বরীয় স্বপ্নকল্প মগ্নশিলার শিখর ছুঁয়েছে   আদিমের মায়া ডাক ছায়াহীন আলো, যন্ত্রণার মহাকাব্য নির্ভার আলিঙ্গন না আত্মহৃদয় ছিঁড়ে খাওয়া   জরাসন্ধ মানুষ কোন্‌ দিকে যাবে...                          
https://sites.google.com/site/alokathapd/
মৃত্যুকথা ভাববো এখন সময় কোথা আমরা এখন ব্যস্ত ভীষণ কাঠ জোগাড়ে তাবড় তাবড় তত্ত্বকথা,  মানব বিশ্ব প্রপঞ্চ ঘর, গলি-ঘুঁজি, বন-বাদাড়ে নশ্বরতায় জীবন ঘেরা দারুণ বরং দামী এবং উচ্চতর ভাবের কথা জীবন নিয়ে যাপন নিয়ে ইনবিনিয়ে ঘুলিয়ে ঘিলু হট্টগোলে আয়ে ব্যয়ে মৃত্যুকথা ভাববো তোর সময় কোথা সবাই এখন ব্যস্ত ভীষণ শবের দাহে মানবতার মৃত্যু হলে মৃত্যু শোক অশ্রুহীন বরং আরও উথলে ওঠে কফন নিয়ে আদিখ্যেতা ক্ষতিপূরণ রঙিন জল পাশে থাকার আবশ্যতা মিটিয়ে সব শান্ত হলে, সিদ্ধ যখন চতুরালি চমক লাগে, ঝলসে ওঠে ধুরন্ধর ধৃষ্ট চোখ মুখাগ্নির মশালখানা আত্মভুলে নিজের মুখে ছুঁইয়ে আছে এ সভ্যতা
নীরাকে ডিস্কোয় যেতে দেব না
       বসন্তবিলাপ       বিস্মৃতি খুঁড়ে তোলা ম্লানতর প্রাক্তন বর্ণমালা উজ্জ্বল দীর্ঘশ্বাসে ভেজা   বিলাপের কাল সীমাহীন রাজ্যজয়ে চলো   ডালে ডালে নির্ভয় সমারোহ সাংকেতিক এই ঋতু হৃদয় ভাসানোয় পটু এই এর জন্মদোষ পঞ্চমে সর্বনাশ   করবির ডালে ফুটন্ত হৃদয় ছিঁড়ে এনে পুঁতে দাও সুষুপ্ত খোঁপায় বহুকাল আলোকের স্বাদ ভুলে গেছে ভাঙার মহিমা   তুলে আনা যাক ম্লানতর হীনযান প্রোথিত সংকেত কিছু চৈতালি রেণুমাখা স্বপ্নজাত তির্‌ তির্‌   স্পন্দমান অন্তঃশীলা ভস্মঢাকা অতীব সজীব             
এই বসন্তে লেখা কবিতা     বসন্ত এসেছে — আঙুর কেউ বেছে কিনবে না দার্জিলিং উধাও হবে ভুটিয়ারা ফিরে পাবে দেশ কিংশুক নামান্তরে পলাশ জেনেশুনে ভুল হবে নির্বিঘ্নে আগুন আহার বে-মালুম শরের আঘাত   আমের বল্লম সোনার কাঞ্চন, গন্ধরাজ রাজ্যজয়, মাতাল বাসনা ভেতরে ভুলিয়ে দেয় ভয় বাঞ্ছিত বসন্তের সেনা মাঝরাতে কাঙ্ক্ষিত কড়া নাড়া স্মৃতিরঙা বসন্তপূর্ণিমা   রঙ রস, ডুবে থাকা ভিজে যাওয়া মলয় বাতাসে এভাবে শেষ নয়, ভঙ্গুর ভেসে থাকা ক্ষণিক আবেশে   তৃষ্ণার্ত চৌচির দিনে চৌদিক প্লাবিত ঝড়ে জীবনের পদে পদে ধুলো আকাশে তাকিয়ে দেখি স্মৃতিচিহ্ন বুকে নিয়ে জীবনের দিকে উড়ে চলে পূর্ণতর কাপাসের তুলো।  
এই বসন্তে লেখা কবিতা     বসন্ত এসেছে — আঙুর কেউ বেছে কিনবে না দার্জিলিং উধাও হবে ভুটিয়ারা ফিরে পাবে দেশ কিংশুক নামান্তরে পলাশ জেনেশুনে ভুল হবে নির্বিঘ্নে আগুন আহার বে-মালুম শরের আঘাত   আমের বল্লম সোনার কাঞ্চন, গন্ধরাজ রাজ্যজয়, মাতাল বাসনা ভেতরে ভুলিয়ে দেয় ভয় বাঞ্ছিত বসন্তের সেনা মাঝরাতে কাঙ্ক্ষিত কড়া নাড়া স্মৃতিরঙা বসন্তপূর্ণিমা   রঙ রস, ডুবে থাকা ভিজে যাওয়া মলয় বাতাসে এভাবে শেষ নয়, ভঙ্গুর ভেসে থাকা ক্ষণিক আবেশে   তৃষ্ণার্ত চৌচির দিনে চৌদিক প্লাবিত ঝড়ে জীবনের পদে পদে ধুলো আকাশে তাকিয়ে দেখি স্মৃতিচিহ্ন বুকে নিয়ে জীবনের দিকে উড়ে চলে পূর্ণতর কাপাসের তুলো।  
কাঠের নৌকো
সরসুনা কলেজে অনুষ্ঠিত (১৭-১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১২) দু-দিন ব্যাপী জাতীয় স্তরের আলোচনাচক্রে উপস্থাপিত গবেষণাপত্রের নির্বাচিত সংকলন। অনুগ্রেহ করে এই লিঙ্ক দেখুন...
ভোর---- লজ্জানত ভ্রূমধ্য দিগন্ত সীমায় রাত্রির সিঁথি থেকে লাফিয়ে নামছে সূর্য সোনালি চিবুক ও কপোল ক্ষেতে ঊষার রক্তিম বিস্তার ঘোমটা ছিঁড়ে আসা স্বর্ণাভ সকাল এখনও গায়ে তার কলঙ্কের গুঁড়ো অন্ধকার রেণু প্রস্ফুটনের বৃন্তে চিরন্তন কুঁড়ি প্রভাতের পেছনে অন্ধকার মুখ ঘিরে থাকা কূহক প্রপাত লজ্জা ও প্রগলভতা, বৃত্ত ও জ্যা মুক্ত ভয় আর সাহস, সন্দেহ অথচ উল্লাস শস্যভেজা অন্নপূর্ণা আলো                                 আর বুভুক্ষু উন্মোচন মুখোমুখি দ্বা সুপর্ণাবৎ বসে ভোর হল... চিরন্তন রাত হতে চিরন্তন ভোর গড়িয়ে নামছে পূর্ণ বৃত্তের দিকে কী উপহার যথার্থ এই বিবাহসভায় অযাচিত দেখে ফেলা লাবণ্যরাসে এই নাও রবাহূত আগন্তুক বিস্মিত চোখ অথবা নয়নের সেই মাঝখান যেখানে রাত্রির কপাট খুলে ভোর রাত্রির লজ্জারাঙা ভোর ফুটে উঠছে আমার যন্ত্রণার রঙে
http://www.pallab.com/services/BanglaDateToday.js
http://gitabitan-en.blogspot.in/
‘সম্রাটের চেয়ে কিছু কম সম্রাটত্ব’... তন্ময় বীর   সুনীল বলেছিলেন জীবনানন্দ তাঁর প্রিয় কবি, কমলকুমার প্রিয় কথাকার, অথচ ‘এদের দুজনের কোনো লেখার সঙ্গেই আমার কোনো মিল নেই’ কিন্তু চমকে উঠতে হয় যখন জীবনানন্দে পাই- ‘সে শরীর ঈশ্বরের চেয়ে কিছু কম গরীয়ান’ এর মতো শব্দবন্ধ বা ‘তুমি তো জানো না কিছু – না জানিলে,/ আমার সকল গান তবুও তোমায় লক্ষ্য করে’ র সমান্তরালে সুনীলউচ্চারণ - ‘এ কবিতা মধ্যরাত্রে তোমার নিভৃত মুখ লক্ষ্য করে’ । ‘নির্জন স্বাক্ষর’-এর অন্তরালে লীন হয়ে আছে নীরার জন্মবীজ। আজীবন শব্দ অক্ষর কমা ড্যাশ রেফ ও র-এর ফুটকি সমেত শরগতি জিবনানন্দীয় ম্লানমৌনতা থেকে কীভাবে জন্মঋণ পেয়েছে তা সবিশেষ অনুসন্ধেয়। বঙ্কিম রবীন্দ্রনাথকে আপাত অস্বীকারের ছলে উত্তরাধিকারের ভিতে নবনির্মাণে যে সাম্রাজ্য গড়ে ওঠে সেখানে তিনি তাঁর নিজের বিশেষণেই সম্রাটের মতো। নিজস্বতার শর্তেই তিনি দখলদারি পেয়েছিলেন; যাপনের অকৃত্রিমত্বে জোর অর্জন করেছিলেন ভাষা-সংস্কৃতির অভিভাবকত্বের। এই যে সেদিন লিখলেন - 'অধিকাংশ বাঙালি মূর্খ , তাদের শিল্প-সাহিত্যের কোনও বোধই নেই। অর্ধেকের বেশি বাঙালি তো এখনও পড়তে-লিখতেই জানে না
http://www.facebook.com/narayan.haldar.3#!/photo.php?fbid=249056571864709&set=at.243862302384136.34591.100002811040088.100002585965439&type=1&theater
http://www.biplobiderkotha.com/

কলকাতার শীর্ষ থেকে -২

Image

কলকাতার শীর্ষ থেকে...

Image
http://www.facebook.com/pages/Bengali-dept-sarsuna-college/271671266250840?sk=wall&filter=2&ref=notif&notif_t=wall#!/photo.php?fbid=117100231765392&set=p.117100231765392&type=1&theater
তার মুখে বনলতার ভাস্কর্য তন্ময় বীর শু রুটা শেষ দিয়ে করে যাক্‌। ১০ এপ্রিল, গুয়াহাটি ছেড়ে দীপর বিল ডানহাতে রেখে সরাইঘাট এক্সপ্রেস এগোচ্ছে; কলকাতায় থামবে সেই ভোরে। ঘনায়মান মেঘ দুপুরের প্রখরতাকে সহনীয় করেছে। দূর পাহাড়ের মাথায় মনখারাপ রঙের মেঘ বিষাদ বিছিয়ে রেখেছে। বৃষ্টি আসার পূর্বাভাস মিলছে। চলমান জানলায় চোখ রাখতে রাখতে কবিতা এলো মনে- বৃষ্টি আসুক তোড়ে ট্রেন থেমে যাক সময় উল্টো হাঁটুক অঘটন একটা ঘটুক ঘোষণা হোক অকস্মাৎ গাড়ী যেন গৌহাটিতে ফেরে সাধারণত এরকম হয় না, এরকম ভাবালুতা ঠিক আমার ধাতসই নয়। দেখলাম খুব নীচে দিয়ে একটা প্লেন উড়ে গেল, ওই বুঝি বিশিষ্ট সব কলকাতার মানুষরা উড়ে গেলেন; জয় গোস্বামী, নবারুণ ভট্টাচার্য, সন্দীপ দত্ত, বিশ্বনাথ রায়, অরুণ বসু প্রমুখ। ওঁরাও কী আকাশপথে এভাবে নস্টালজিক প্রত্যাবর্তনের কথা ভাবছে। রণেন-’দা (মূকাভিনয় শিল্পী) পাশে থাকলে কথায় কথায় এড়িয়ে যাওয়া যেতো এই পরিস্থিতি, স্মৃতি পেড়ে ফেলতে পারতো না এরকম অক্টোপাসের মতন। তো তিনি বসে আছেন সেই স্লিপার বগির একেবারে শেষ সীমায়, আর আমার টিকিট আপগ্রেট হয়ে হয়েছে টু-এস