Posts
- Get link
- Other Apps
তার মুখে বনলতার ভাস্কর্য তন্ময় বীর শু রুটা শেষ দিয়ে করে যাক্। ১০ এপ্রিল, গুয়াহাটি ছেড়ে দীপর বিল ডানহাতে রেখে সরাইঘাট এক্সপ্রেস এগোচ্ছে; কলকাতায় থামবে সেই ভোরে। ঘনায়মান মেঘ দুপুরের প্রখরতাকে সহনীয় করেছে। দূর পাহাড়ের মাথায় মনখারাপ রঙের মেঘ বিষাদ বিছিয়ে রেখেছে। বৃষ্টি আসার পূর্বাভাস মিলছে। চলমান জানলায় চোখ রাখতে রাখতে কবিতা এলো মনে- বৃষ্টি আসুক তোড়ে ট্রেন থেমে যাক সময় উল্টো হাঁটুক অঘটন একটা ঘটুক ঘোষণা হোক অকস্মাৎ গাড়ী যেন গৌহাটিতে ফেরে সাধারণত এরকম হয় না, এরকম ভাবালুতা ঠিক আমার ধাতসই নয়। দেখলাম খুব নীচে দিয়ে একটা প্লেন উড়ে গেল, ওই বুঝি বিশিষ্ট সব কলকাতার মানুষরা উড়ে গেলেন; জয় গোস্বামী, নবারুণ ভট্টাচার্য, সন্দীপ দত্ত, বিশ্বনাথ রায়, অরুণ বসু প্রমুখ। ওঁরাও কী আকাশপথে এভাবে নস্টালজিক প্রত্যাবর্তনের কথা ভাবছে। রণেন-’দা (মূকাভিনয় শিল্পী) পাশে থাকলে কথায় কথায় এড়িয়ে যাওয়া যেতো এই পরিস্থিতি, স্মৃতি পেড়ে ফেলতে পারতো না এরকম অক্টোপাসের মতন। তো তিনি বসে আছেন সেই স্লিপার বগির একেবারে শেষ সীমায়, আর আমার টিকিট আপগ্রেট হয়ে হয়েছে টু-এস
- Get link
- Other Apps
বসন্ত ও বিশল্যকরণী তন্ময় বীর ডাক দেওয়ার আগেই শীতরুক্ষ দধীচি আঙুলে জেগে ওঠে অব্যর্থ কচি নিমপাতা । নিমগ্ন শব্দজীব ী ছন্দলেখে প্লুত , এখনও হৃদয় হাতড়ে ফেরে পেলবতা । বসন্ত নির্ঘোষ কত মাঝপথে থেমে আছে অনাথ কূলহীন নিথর অহল্যা । সচকিত করে চপল মধুমাস অসমাপ্ত চুম্বনে চলে গেছে । নিষ্ঠুর নির্মম অবহেলায় নির্বোধ গর্ধভের পায়ে রাধাচূড়া ঝরেছে ময়দানের ঘাসে অবিরাম । কৃষ্ণচূড়া হাতে নিয়ে কবে মনে হয়েছিল তিমির তিমির হননের গান ; ট্র্যাডিশন সমান চলে ; এই যে অঞ্জলি শষ্পে পড়ে অবারিত নির্বাক হরিণ বস্ত্রের মতো লুঠ হতে হতে লুঠ হতে হতে ক্লান্ত বিস্রস্ত বিবশা শুয়ে আছে যেন নিশ্চিত। বসন্তের ছোঁয়াচে অকাল শিং রাত্রির গাঢ় মদে জন্মদেশে অপ্রতিরোধ্য শিহরণ তোলে জেনে পূর্বাহ্নে তৃতীয় নেত্রে বসন্তসেনার উদ্যত সদণ্ড শাসন। চূতমঞ্জরী মায় মালতী মল্লিকা টবের সম্পদ তারা কতটা চেনে রঙিন বসনপ্রান্ত। উদাসী বাঁশিতে নেই নাগরিক উদগ্র উচ্ছ্বাস, এখানে প্রত্যহ ফোটে চিরবসন্ত । কী কী হারিয়ে গ