শীতযাপন শীতকাল এসে গেল ত্বকের যত্নাত্তির কাল অন্দরবাসী দুই সুপর্ণা একটি বসন্তবর্ষাশরৎউষ্ণতা চায় অন্যটি কেবলই হিমের পরশ সেই সব বালাই, যার কোনো প্রতিষেধক মিলল না সেই সব অধোগমন শতাব্দী পেরিয়ে এসে মহামানবের বাণী যার কাছে লজ্জা পায় সেই সব কাদা সহস্র সূর্যাভায় এখনো পিচ্ছিল হয়ে আছে আয়ুর স্থিরতা আজও এই সুসভ্যতায় পদ্মপত্রনীর কে কখন ঠুকরে দেয় আকছার ভেঙে যায় নীড় পরিশুদ্ধ জলস্পর্শহীন নিয়ত নিহিত স্নান এক পাখি জাড্যের বিপরীতে সুপক্ব স্বাদু পিপ্পল চায় না শীত চায়, শুধু ঘুম * * * হেমন্তকে শীতের সূচনা ভাবা ভ্রম, তারো আছে নিজস্ব নিশ্বাস। না-শীত ও উষ্ণ রমণীয় নির্বেদ। পরিণত মৌন নিজের নাড়ি ধরে মৃত্যুকে বোঝা সাংঘাতিক পৌঢ়বিজ্ঞ কোনও টান নেই, অশ্রু নেই একে কেউ চায় না বরং শীতের পরিধি ভেবে শুকোতে দেয় বিছানা চাদর। * * * উদ্যত ও নিবৃতের মাঝে ঐ যে সুফল, নির্বিকার পরিণতিপ্রজ্ঞানী, ঐ তো হেমন্ত দ্রুত মরে যেতে হবে, জানে। তার মরে যাওয়া, বিজ্ঞের ভানে দেখেও দেখবে না কেউ নিশ্চলও সমান অংশীদার সধুতার
Posts
Showing posts from 2014
- Get link
- X
- Other Apps
অমৃতা তন্ময় বীর কথা রইলো – দেখা হবে মেঘের মায়ায় নদীতীর, বিকেল, ঝিলিমিল, আলোয় ছায়ায় এভাবে আর পুড়বো না জ্বলবো না এরকম আর ওয়াদা – মেঘ আনবে পুঞ্জ চিরে ছায়া আনবে অরণ্যানীর এই মিথ্যে সব মায়া বকুনির ফুলঝুরি প্রত্যাশার গন্গনি অবিমৃষ্য কাঙাল্পনা উপেক্ষার জলে ভাসিয়ে বজ্রের নির্ভীকতায় ভিজে তিতবো আনখশির অনুরাগের উপত্যকায় আকাঙ্ক্ষা উঁচু কামাখ্যার চূড়ায় মেঘ ছায়া তার লুইতের জলে টান টান মেখলা তীব্র মাদলের বিহু কীর্তনের করতাল অঙ্গীকার – গ’লে যাবো গণতন্ত্রের দেশে রঙিন ফানুসের নীচে এই রিয়ালিজমের ম্যাজিক ও বাজি রঙের অধিত্যকায় দ্যাখো তিনিও তাজ্জব! উবু হয়ে বসে আছেন ভানুমতীর রং- বেরং অলীক চিত্রকরের সামনে দেশে কোনো কোতোয়াল নেই কেনানা চৌর্য নেই কোনও ওই সেই সুন্দরীতমা উঠে যাচ্ছেন নিরলম্ব, শূন্যে আকাশে... তোমার ঝারিতে উর্বর হবে যাবতীয় মধ্যাকর্ষণ বাড়বে চন্দ্রপৃষ্ঠে বসতি হবে, স্বপ্নচাষ হবে কথা রইল, প্রত্যয় – উঠে যাবো না শূন্যতায় পুড়ে যাব না নিছক ভেসে যাবো না অনবলম্ব দু’হাতের তালুর মেঘে করলতের ম
- Get link
- X
- Other Apps
ন্যাচারাল, অতি স্বাভাবিক সাইরেন চিল্লাচ্ছে খুব আলোর ঝিলিকে ধাঁধা অ্যাম্বুলেন্সের মাথা । উৎসব শেষ হ’ল কী যেন নির্ণয় হ’ল তরী ভিড়ে গেল শস্ত্রের আগায়। অক্সিজেন ঢুকে আছে নলে জলের লবণ যায় সূচ বেধা ধমনী শিরায়। এই তো বিনিময়ে পাওয়া এই তো দাওয়াই, প্রতিদানে — বড়ো উৎসব চারিদিকে ধূমধাম খুব রঙিন আবির ঝড় মুখ চেনা ভার। জরুরি বিভাগে ভিড় সকলে আসে না, কেউ কেউ এসে উঠতে পারে... প্রতিবাদী, নিমকহারাম, বিরোধী এসবই প্রাপ্য ওদের শালা— কত ধানে কত চাল, খাও! কোন কাছারিতে যাবে, যাও সব শুনশান, শিশিরের শব্দের মতন রক্তপাত, আশ্রুপাত হয়। নীরবতা খান খান করে সেবা গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স বলে — তফাৎ যাও, তফাৎ যাও * মিথ্যে নয় মিথ্যে নয় ঝুটা হ্যায় এই রাত এই হতাহত নিশুতি, নিরস্ত্রের হাহাধ্বনি যারা খুব ভয়ে ছিল টিকটিকিতেও চমকাতো তারা আজ নির্ভয়! কী আলো এসেছে আহা জন্মান্ধের চোখে! * কে দেখে নিশ্চিত করে? বাইরে দেখা চোখের আলোয়— শরীরের এত ‘আপন আলো’ হ্যালো, জ্যোতি এত সকলের রোদচশমা বিকোচ্ছে ভালো বিদেশি ছাপের। * ছাপ! ও