Posts

Showing posts from June, 2019
এখন তোমার উপচে পড়ছে থলি এবার তবে শান্ত হয়ে বসো এই যে এখন ভর দুপুরের বেলা গাছের নিচে পাচ্ছ শান্ত ছায়া চুপটি বসো, হয়ো না চঞ্চলা মাঝের ডালে যেমন দুটি পাখি চুপ কথাতে করিছে খুনসুটি একটি পালক ওদের থেকে নিয়ে লেখো বসে নীরব কথাকলি
ধরো, আমি নেই, ছিলাম না কোনো কালে বলে-তো ছিলাম, সহ্য করার ছলে বেশি দিন কিছু রাখাই যায় না। কেউ পারে তো, কেউ না আমিও ভাবছি, ছিলই না কেউ তীরে ক্রমশ অন্ধ, তলাচ্ছি ধীরে ধীরে উঁচিয়ে আঙুল তারাদের খুব বকি একটুও আর না ফুলের মতোই দূরেই সফেদ থাকো মুচড়ে ভাঙ্গা সুবিশ্বাসের সাঁকো যতই কাঁদাও, কাঁদো, সহজেতো কেউ কাউকে পায় না
আমি চাই না আমার স্বপ্ন রৌদ্রতাতে পুড়ুক আমার ইচ্ছে স্বপ্নসোনা বৃষ্টিতে খুব ভিজুক কালো গভীর মেঘের পিছে বজ্রমানিক গাঁথা দৃষ্টিতে তার ঝলসে উঠুক চমকানো সে কথা আমার খুশির বিন্দুগুলি  নামুক তাদের ছাতে চরাচর ভিজিয়ে দিয়ে নাচুক কাতর হাতে নামতে চাই আমিও জলে কিন্তু ডোবা বারণ ভেতর জুড়ে বারুদ ভরা কি যে বলি কারণ ভরা বাদর মাহ ভাদর আগুন লাগা শুরু আব তু হি বাতা সজনি ম্যায় কেয়া করু
তুমি দোষী নও, আমিও সকলে নির্দোষ, ওই শিশুও মায়ের কোলেতে যে মরে গেল বেয়াদপ কিছু ওই ছিপিও
চুম্বন যেগুলো ফেরেনি ফুটে আছে গাছে লাল নীল হাত রেখে বৃন্তে ও দলে ধীরে শোনো সে দর্দ-এ-দিল       💋     চুম্বন যেগুলো ছুঁয়েছে তার কাছে প্রাণ ঋণী আছে চোখ রেখে দেখ ভিতরেতে সব কিছু তোমাতে রেঙেছে           💋 আসবে যেসব চুম্বন তাকে ঘিরে শুধু উন্মন জাল বুনে রাখি স্বপ্নেতে পাতবে কোথায় সে আসন
উত্তরাধিকার নয় কিছু যতসব এই ভাঙাচোরা ছিঁড়ে ফেলা নিজের নির্মাণ অথবা সযত্নে তুলে রাখা অনার্য স্মৃতির কাতরতা এই ঊর্ধ্বপদ হেটমাথা উল্টো করে সব কিছু দেখা চতুর শাঠ্যের পাশে বোকা তিলোত্তমাকে না ছুঁয়ে, ফুঁ-এ উড়িয়ে এসে চূর্ণ কুন্তল জানু মুড়ে একলব্য থাকা সুকঠিন পাহড়ের পায়ে অলৌকিক নামাবলি ছিঁড়ে ধূলিতে চার্বাক হয়ে বাঁচা বত্রিশ পুতুল হয়ে থাকা তক্তের তামাশা দেখা ছলে যতটা গ্রাম্য ভাবো তার থেকে বেশি মাটি চন্দনের প্রলেপ  পায়ে নখে ঝুলিতে সম্বলে যত লোভ দেখো বহুগুণ ক্রোধ তার চেয়ে দাঁতে দাঁতে যত নীচ ভাবো তার চেয়ে গভীরতর নীচের নাভিতে বসে আছে আমার নির্বাণ উত্তরাধিকার নয় সেতো ভাঙাচোরা ছেঁড়াখোঁড়া গান স্বোপার্জিত নিজস্ব নির্মাণ
এমন গোপন আস্কারাতে দস্যুও দেবতা হয়ে ওঠে ধরে দিলে সোনার আপেল প্যারিসও মৃত্যুর দিকে ছোটে ঘাড়ের বুনো কেশর ওড়ে  দুরন্ত বাতাসে তাকে যদি  দাও লাগাম খোলা আস্কারা সে তবে পক্ষীরাজের বাড়া  ঝরনাকে আস্কারা দিলে নদী মেঘেরা একটু ইশারা পেলে  ভিজিয়ে দেয় চুল অবধি শিকড়ের আস্কারেতে বনে খনিজ ফাগুন হয়ে ফোটে যে অভাগা ফিরে ফিরে কষ্টে পাওয়া একটি তারা গোনে তাকেই কেন আস্কারা দাও ছায়াপথে লক্ষ তারা বনে
‘সাঁতার শেখোনি ভালো’  বলে - নিয়ে গেলে উত্তুঙ্গ পর্বত বললে, এইখানে স্তব্ধ দাঁড়াও চোখের ভেতরে চোখ  খুলে দেখো একটু শ্বাসকষ্ট হতে পারে, তাও ভয় পেয়োনা না একেবারেই মোলায়েম হয়ে আছে মাটি বিশল্যকরণীর সুগন্ধ মাতলামি বাতাসে ঘাসে ঘাসে আকাশ পাতাল হিমপাতে সাদা তার উপরে এসে পড়েছে দুধে আলতা আলোর ছটা ভাবি, আমি কী বেঁচে আছি - কত উঁচু এই পাহাড়ের চূড়া কী অজানা এই সানুদেশ আমি কি ভাসছি হাওয়ায় অনেক নিচে চক্রবালের সীমায় নিঃসঙ্গ তিলের মতো একটি তারা ফুটে আছে ঈষৎ তামাভ
ভাঙিনি কিছুই, শুধু ছুঁয়েছি শিহরিত স্বচ্ছতা দেখিনি কিছুই, শুধু দৃষ্টি ঢেকেছে অনচ্ছতা বাঁধিনি বাঁধনে, ছন্দে ছাঁদে ধরা তাকে ধৃষ্টতা মুঠোর বাঁধন দিয়েছি খুলে গোপন রক্তকথা বোঝেনি কিছুই, শুনেছে শুধু ‘যা, যেথা ইচ্ছা সেথা’