Posts

Showing posts from March, 2019
এসব কার কথা উদ্ধৃত করি এই ধরো সময়ের কাছে হাত পেতে থাকা অথবা রেকাবে রাখা হৃদয়ের টোস্ট চার চার খানা বা ধরো উদ্গ্রীব আকাঙ্ক্ষার চোখে ফুল ফুল ছাপ ভেতরের ঘরে কিছু ক্ষতি নয় ভুল নয় খুব অনন্তের কাছে ঋণে বাঁধা আছে শহর গঞ্জে ওড়া ফানুস স্তোকে গোপনীয় কবিতার ছেঁড়া পাতা এমন চোরা বাক্য পদের উৎস অস্বীকার করা অধমর্ণ জানো তবু স্বেচ্ছায় মৌচাক ছেড়ে শেষ দাবি সব ত্যাগ করে স্মিত ভাবো মানুষখানা সমস্যার ছিল বেশ        
রেখে যাব কবিতার তিন নম্বর খাতা খানা পাণ্ডুলিপি কাটাকুটি জানতে চায় যদি কেউবা দ্বিধাহীন বলে দিও লোক বড়ো সিধে ছিল না দ্বিতীয় তৃতীয় চার প্রথম পঞ্চম খাতা যা যার যার কাছে আছে প'ড়ে দেখে নিতে ব'লো তা হয়তো সেখানে মিলবে স্বল্প খানিক সরলতা  সত্যি কথা দিও বলে লোক বড়ো সাদা ছিল না কেউ কেউ এরকম এক জীবনের ন'খানা পাতা দশ খাতে রেখে সুখ টান দেয় চুরুটে নড়াচড়াহীন শিলা শাখাপ্রশাখাহীন খাড়া ওরকম মোটেও না ব্যাপ্ত আকাঁড়া ও ঝাঁকড়া এক ডাল জলে ছোঁয়া আর দুএকটা শিকড় যে কোথায় লুকানো সেটা তুমিও কখনো দেখনি বলে দিও এতটুকু গোপন না করে ছলনা চেহারা যেমন হোক সে বড়ো সহজ ছিলনা
পথের সূচনা ও অন্তিমের মাঝে উন্মুখ হয়ে আছে মাধবীরলতা সূর্যমুখীর দেখা পেয়ে যেতে পারো ফুটেছে কিছুটা আর স্বপ্নের ভারে কুঁড়িরা দুলছে ঈষৎ লাজুক যেন ভুল করে যদি ভুল করে থাকো কান পেতে শোনো বনানীর গান হৃদয় বিলানো কামিনীর থোকা তুলে নিতে পারো চোখের খোঁপায় নাগরিক শ্বাস দোলাচল ভয় জোর করে কিছু ঠিক কোরো নাকো ফুলেরাই বলে দেবে নিরাময় সময়ের কাছে হাত পেতে দেখ স্রোতের আজান আলুথালুময় দীর্ঘশ্বাসের চুলে ঠোঁট রেখে মলিন পায়ের কাদা মুছে দিয়ে বলে সবটুকু নয় অপচয়
এইসব দেখে অন্তরে উল্লাস হয় খুব শিকল পরিয়ে বাঁধি নিজ হাত নিজে চাবি গিলে ফেলে উল্লাসে মাতি খুনে গোপনে প্রোফাইল ঘেঁটে দেখে আসি খুব রাতে জেগে আছো কিনা আত্মহত্যার ভষ্ম মাখি ফর্সা হওয়ার লোভে এই সব পুণ্য লেখা হবে সার্ভিস বুকে ভবিষ্যনিধির খাতা কাটাকুটিহীন সতী পাকা করে যাচ্ছি দেওয়ালের ভিত হৃদয় বন্দকী রেখে শোধ করা সব দেনা অযথা মরে গেলে ভুল করে কক্ষনো কোনো আঙুলও নাচবে না ক্রমশ পাথর করে নিচ্ছি অতল সজলতা শুধু বিলাসীকে মানায় বলে খুনিরও কী গোপন অশ্রু থাকবে না ?
কবি তো মোমের পুতুল খবরদার কেউ ছোঁবে না সাধ করে লিখতে এসে সে কেনো ঘেরাও হবে কবির ইচ্ছা যার খুশি তার মঞ্চে যাবে, কাওয়ালি গাবে কবির ইচ্ছা কোন মিছিলে যাবে কিম্বা নাইবা যাবে স্বর্গে কী ব্রথেলে শোবে তোমারও ইচ্ছা হলে কবিতা প্রোডাক্ট হলে উল্টো করে লাইক মারো কাব্য নালা ও নাব্য হলে কবিতায় কী আর ধোবে বড়জোর মুততে পারো কবিতা প্রোডাক্ট যখন কবিতা ছিঁড়তে পারো কবিতো মুনিষ মাত্র ওকে ছিঁড়লে কাঁচকলা কবিতো ফানুস মাত্র ওকে ছুঁলে ঝুটঝামেলা উহাকে শুঁকিয়া দেখো গন্ধেই জানান দেবে স্যাঁতা নাকি টাটকা শলা হতেই যদি হয় খুনি রক্তে যদি জোয়ার ডাকে তখন তুমি নিজেই লেখো একটা সজীব সঞ্জীবনী
কে আমার কবিতা পড়ে পেঁদাবো এক থাপ্পড়ে আমি কী তেমন কবি যে ইচ্ছা সে লাথাবি পক্ষে তোর না দাঁড়ালে গালাবি চার অক্ষরে যে আমার কবিতা পড়ে তাকে আমি চেঁচিয়ে পড়ি যে আমায় আদর করে আমি তাকে সুরতহালে ছিঁড়ে দেখি অতল তলে পেঁদাবো এক থাপ্পড়ে নিজিকে চিরে তা'পরে লবণে চেটে দেখি কীভাবে অশ্রু পড়ে আমি কী তেমন কবি যে ইচ্ছা সে চুমোবি বিষ রাখি তারি ঠোঁটে যে আমার প্রেমে মরে আমি কী তেমন কবি যে ইচ্ছা সে কামড়াবি পড়ি তার চরণতলে যে চরম ঘেন্না করে পেঁদাবো এক থাপ্পড়ে যে আমায় পেন্নাম করে
ফেলেছ কোন ফাঁদে অছিলায় বৃষ্টি নামে তরাজু বজ্রে কাঁপায় ইশারা ট্রাফিক সবুজ স্বর্গের দুয়ার ঈষৎ শিহরনে পেখম ছোঁয়া নিরস্ত্র ভোটারু হাত ত্রস্ত নোটায় দাবায় বাক্য যা চেঁচাতে চায় এলিয়ে যায় আর্তনাদে এ আমায় একী ভীষণ ফেলেছ কঠিন ফাঁদে ত্রিশঙ্কু মনের কোরাম নিঃসহায় ফেঁসে লুটায় ওই চোখের চাঁদে